কলকাতা ব্যুরো: শনিবার সারাদিন চার রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সিবিআই বিশাল অংকের কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার পুরুলিয়া ও সল্টলেকের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারের টাকা সিনেমায় লগ্নি করা হতো কি না তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা এদিন সিবিআই সি আই টি রোড লালার অফিসে দীর্ঘ সময় তদন্ত চালিয়ে বেশ কিছু প্রোডাকশন হাউজের কাগজপত্র লিফলেট সহ এমন কিছু নমুনা হাতে এসেছে সিবিআইয়ের, যা থেকে তদন্তকারীরা এখন কয়লার কালো টাকা রুপোলী জগতে পাচার হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন।
কেননা এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের কালো টাকা বলিউডে ব্যবসা করত বলে অভিযোগ ছিল। যার অনেকাংশই পরে মিথ্যে নয় বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া এ রাজ্যে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেশকিছু সিনেমা তৈরি হয়েছে টালিগঞ্জ এ যেখানে সরাসরি বেআইনি চিটফান্ডের টাকা লগ্নি করা হয়েছিল। সেই যুক্তিতেই তদন্তকারীরা এদিন লালার অফিস থেকে পাওয়া নথিপত্র নতুন করে যাচাই করা শুরু করেছেন।এর আগে এদিন ভোর থেকেই আসানসোল, রানীগঞ্জ, জামুরিয়া, অন্ডাল, পুরুলিয়া সহ রাজ্যের অন্তত ২২ টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দেয় সিবিআই.। এ রাজ্য ছাড়াও বিহার, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশের মোট ৪৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের প্রায় ৩০০ অফিসার ও কর্মী।পুরুলিয়ায় একটি রিসোর্টে দুপুরের পরে হানা দেয় সিবিআই এর দল। একইসঙ্গে কুনোষ্টরিয়ার কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার ও সিকিউরিটি ইনচার্জ এর বাংলো ও কাজোরা কোলিয়েরি জেনারেল ম্যানেজার ও সিকিউরিটি ইনচার্জ এর বাংলা, এমনকি ই সি এলের চিফ সিকিউরিটি অফিসারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।ই সি এলের সিএমডির পার্সোনাল সেক্রেটারি সিবিআই হানার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি সিবিআই হানা দেওয়ার পরে কুনষ্টরিয়া কোলিয়ারির সিকিউরিটি ইনচার্জ হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।যদিও বিধানসভা ভোটের আগে এই শুরু হওয়া তদন্ত আদতে কতদিন চলবে সে নিয়েও সংশয় রয়েছে কয়লা খনি এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে।