কলকাতা ব্যুরো: বুধবার দুপুর ২টো বেজে ৫৩ মিনিট। রওনা দিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। রবীন্দ্র সদনের পর পরবর্তী গন্তব্য দমদম বিমানবন্দর। এদিন বিকেল ৫.১৫ মিনিটের বিমানে নিজের ঘর মুম্বইতে ফিরবেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর পরিবার। মুম্বই থেকে সুদূর কলকাতায় নিজের পায়ে হেঁটেই শো করতে এসেছিলেন। কিন্তু এখন আর পায়ে হেঁটে নয়, তিনি ফিরছেন কফিনে বন্দি হয়ে।
এদিন দুপুরে রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুট দেওয়া হল প্রয়াত শিল্পীকে। সেখান থেকে কেকে-র দেহ রওনা দেয় দমদম বিমানবন্দরের দিকে। রবীন্দ্রসদনে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, অরূপ বিশ্বাস, শান্তনু সেন, মদন মিত্র সহ বিশিষ্টরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল দিয়ে গায়ককে শ্রদ্ধা জানান। মমতার পরেই গায়কের কফিনবন্দি দেহে মালা দেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা এবং পুত্র নকুল কৃষ্ণা কুন্নাথ। ছিলেন পরিবারের আরও দুই সদস্য। শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরই গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানোনে হয় শিল্পীকে।
বুধবার রবীন্দ্র সদনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শিল্পীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুরে বাঁকুড়া থেকে ফিরে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলায় রবীন্দ্র সদনেই প্রয়াত শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। তাই প্রয়াত গায়ক কেকের মরদেহও এসএসকেএম থেকে রবীন্দ্র সদনেই আনা হবে। বিমানবন্দরে এই ঘোষণা করার পরই নিজেও রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে যান মমতা। তাঁকে শিল্পীর জন্য রাখা ছবিতে নিজে হাতে ফুল দিয়ে সাজাতেও দেখা যায়। পরে কেকে-র দেহ রবীন্দ্র সদনে আনা হলে শিল্পীর স্ত্রী-র হাত ধরে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাত ধরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জ্যোতি।
এদিকে শিল্পীর দেহ মুম্বই নিয়ে যেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার পুরো ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। বিমানবন্দরে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও কড়া নজর রেখেছে রাজ্য।