কলকাতা ব্যুরো: অরুণাচল প্রদেশে ফের চিনা ঔদ্ধত্য। ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে ১৭ বছরের এক নাবালককে অপহরণ করে নিয়ে গেল চিনা সেনা। বুধবার এই অভিযোগ করেছেন খোদ স্থানীয় বিজেপি সাংসদ তাপির গাঁও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথা ভারত সরকারের সব এজেন্সিকে দ্রুত সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরম তারন নামের ওই ১৭ বছরের কিশোর মঙ্গলবার তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তের লুংটা জর এলাকায় শিকারে গিয়েছিল। তখনই চিনা সেনা তাঁকে অপহরণ করে। মিরমের বন্ধু জনি ইয়াইং অল্পের জন্য চিনা সেনার হাত থেকে রক্ষা পায়। সেই এসে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।

বুধবার রাতে স্থানীয় সাংসদ তাপির গাঁও একের পর এক টুইট করে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর অনুরোধ, দ্রুত ভারতীয় এজেন্সিগুলি সক্রিয় হয়ে মিরম তারনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন গাঁও।

এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও একইভাবে আপার অরুণাচলের সুবনসিরি এলাকা থেকে পাঁচ যুবককে অপহরণ করে চিনা সেনা। পরে অবশ্য তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর ভারত সরকার আর সেভাবে চিনের উপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারেনি। সম্ভবত সেকারণেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই চিনের এই ঔদ্ধত্য নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সাধারণতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ১৭ বছরের নাবালককে অপহরণ করল। আমরা মিরম তারনের পরিবারের সঙ্গে আছি। কাপুরুষ প্রধানমন্ত্রীর নীরবতাই যেন ওর বক্তব্য।

বস্তুত, একদিকে লাদাখ, অন্যদিকে অরুণাচল। দুই সীমান্তেই লাগাতার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে চিন। লাদাখ সীমান্তে যেমন প্যাংগং লেকে সেনা পৌঁছানোর জন্য সেতু তৈরি করা হচ্ছে, তেমনি অরুণাচল সীমান্তে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। যে এলাকা থেকে ১৭ বছরের এই নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে চিন, সেটা ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ হলেও ২০১৮ সালে ওই এলাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে চিনা সেনা অথচ, কেন্দ্র একপ্রকার ভ্রূক্ষেপই করেনি। এবারেও ১৭ বছরের ওই নাবালকের অপহরণের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version