মৈনাক শর্মা
এলএসিতে সীমান্ত বিবাদের পরই শুরু হয় বয়কট চিন। প্রতিশ্রুতির বাস্তবে রূপ দিতে নিজেদের আত্মনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ নিলেও তা পুরোপুরি ভাবে সফল হয়নি। উল্টে বেড়েছিল চিন থেকে আসা জিনিসের বিক্রি। তবে এই বছর বদলেছে সেই চিত্র। ভারত- চিন বাণিজ্য বাড়লেও, কম হয়েছে চিনের এক্সপোর্ট। ভারত ও চিনের বানিজ্য এই বছরে পৌঁছাতে পারে ১০০ বিলিয়নের দোরগোড়ায়। কিন্তু বাণিজ্যে কমেছে চিন থেকে আসা জিনিসের অর্থাৎ চিনের থেকে আসা জিনিসের বদলে প্রাধান্য বেড়েছে দেশীয় জিনিসের। মানে সফলতার পথে দিল্লির Local For Vocal অভিযান।
তাছাড়া চিনে বেড়েছে ভারতে তৈরী জিনিসের রপ্তানিও। গত বছরের সাথে তুলনা করলে ভারতের রপ্তানি ১৬.৬১ বিলিয়নের মাত্রা ছাড়িয়ে ২০২১ সালে পৌঁছে যায় ২১.১৯ বিলিয়ণে। তার সাথেই কম হয় বানিজ্য ঘাটতি। ২০১৮- ১৯ সালের ৫৩.৫৭ বিলিয়নের ঘাটতি কমে আসে ৪৪.০২ বিলিয়নে, যার তথ্য দেন বানিজ্য মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
তবে এই পরিবর্তনের কারণ, কেবলই বয়কট চিন অভিযান নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে প্রধান মন্ত্রীর আত্মনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ। confederation of All India Trader ( CAIT) র তথ্য অনুযায়ী, কেবলই দীপাবলির মরশুমে চিনের ক্ষতি হতে পারে ৫০ হাজার কোটি। যার ফলে দেশীয় জিনিসের বিক্রি বাড়বে ২ লক্ষ কোটির। তাছাড়া গত পাঁচ মাসের উৎসব মরশুমে দেশীয় বানিজ্য বেরেছে ৭০ হাজার কোটি।
The Dragon এর তথ্য অনুযায়ী, রাখি থেকে শুরু করে নিউ ইয়ার প্রায় সব মিলিয়ে চিনের ক্ষতি হয় ৫ হাজার কোটির।দীপাবলিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শব্দবাজি। ফলে বিক্রি বেরেছে দেশীয় সবুজ বাজির। কেবল গণেশ চতুর্থীতেই চিনের বানিজ্য ক্ষতি দাড়ায় ৫০০ কোটির বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যের রপ্তানিতে এখনো এগিয়ে চিন। ২০১৮ সালে প্রায় ২.৪৯ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বানিজ্য করে বেজিং। যা এ বছরে সামান্য কম হলেও, তালিকার শীর্ষে রয়েছে । দিল্লির আত্মনির্ভর যাত্রা এখানেই শেষ নয়, এ সবে শুরু। এমনই চলতে থাকলে দিল্লি – বেজিংয়ের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। ভারত থাকবে আত্বসাবলম্বীর দোরগোড়ায়।