মৈনাক শর্মা

করোনা ভাইরাসের জন্ম কোথায় প্রশ্ন করতেই মাথায় আসে সেই চিন। আরো বিস্তারিত বলতে চিনের উহান শহর। কারণ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সেখানেই প্রথম করোনার রুগীর হদিশ মেলে। করোনা একটি চিনা জীবাণু তা বার বার প্রচার করে ট্রাম্প দ্বারা পরিচালিত আমেরিকা। আর সেই তকমাকে এড়াতেই মরিয়া বেজিং প্রথমে ইউরোপ, আবার কখনো অস্ট্রেলিয়ার উপর দায় চাপায়, সেই করোনার উৎপত্তি নিয়ে। এমন ভাবেই এবার ভারতের উপর দায় ভার চাপাতে মরিয়া চিনা গবেষকরা।

তাদের দাবি, করোনার প্রথম রোগী চিনের উহানে মিললেও এর আসল উৎস হলো, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্য ভারত এবং পাকিস্তান এলাকায়। চিনের গবেষকদের দা আর্লি ক্র্যাপ্টিক ট্রান্সমিশণ ইভোল্যুশন অফ সারস সিওভি ২ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের গরমের সময় মধ্য ভারত এবং পাকিস্তান এলাকায় জলের পরিমান কম হয়। যার ফলে বন্য প্রাণী দেড় মধ্যে সংঘর্ষের ফলে উৎপত্তি হয় করোনা ভাইরাস। এর পরে এই ভাইরাস ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। ভারত থেকে চিনে আশা মাংসে পরীক্ষার মাধ্যমে তা ধরা পরে বলে দাবি চিনের।

চিনের এই দাবি পরিষ্কার নয় অনেক বিশেষজ্ঞদের কাছে। কিন্তু ঠিক ডাবলুএইচও র তরফে করোনার উৎপত্তি খোঁজ শুরু হওয়ার আগে এইরূপ দাবি করে, এই মহামারীর উৎস থেকে নিজের নাম করাতে মরিয়া বেজিং, তা পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। করোনার উৎপত্তি নিয়ে বিশ্ব ইতিহাসে চিনের নামের বদলে যাতে ভারতীয় উপমহাদেশের নাম হয়, সেই চেষ্টার সাফল্যেই এমন দাবি।
SARS COV 2 একটি জুনোটিক অর্থাৎ পশুর থেকে মানুষে সংক্রমিত জীবাণু। যার দ্বারা সৃষ্ট রোগ হলো করোনা জীবাণু। এর আগেও ২০০২ সালে এমনি পাওয়া SARS COV1 এর উৎস ছিল চিনের গোয়াংদং শহর। উহান ইন্সিটিউট অফ বিরোলজির রিপোর্টে এখনকার জীবাণুর সাথে প্রায় ৯৬ শতাংশ মিল পাওয়া যায়। SARS COV ১ জীবাণুর উৎস ছিল বাদুড়, কিন্তু SARS COV ২ দ্বারা হাওয়া করোনার উৎসের খোঁজ চলছে সর্বত্রে।

বর্তমানে চিন কোনো জীবাণুর উৎপত্তি স্থল নয়, এমন বার্তা দিতে বেজিংয়ের উপর নির্ভর শীল দেশ, যেমন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মত দেশ গুলিকে চিনের এই করোনার নয়া তত্ত্ব বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বাধ্য করতে পারে বলে মত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের। গোটা ছকে চিনের নাম যাতে না থাকে, সেই ভাবে বিষয়টি বিশ্ব বাজারে খাওয়ানোর চেষ্টা হতে পরে। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি চলে আশা ভারত ও চিনের সীমান্ত বিবাদে ভারতকে বিশ্বের কাছে তথ্য যুদ্ধের মাধ্যমে চাপে ফেলতে এই কৌশল চিনের। এক অস্ত্রে ভারতকে চাপে ফেলার এই চিনা নয়া ছক নিয়ে ইতিমধ্যে ওয়াকিবহাল ভারতের কূটনীতিকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version