কলকাতা ব্যুরো: আলিপুর চিড়িয়াখানার হুলস্থুল কান্ড। সোমবার সকালে খাঁচা থেকে বেরিয়ে যায় একটি শিম্পাঞ্জি। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। পশুপাখি দেখার টানে যাঁরা ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরা তো তাজ্জব। মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানার মূল গেট। পরে বাগে এনে শিম্পাঞ্জিটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় খাঁচায়। তবে এমন ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা এক কথা বললেও উলটো সুর আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের গলায়।

এদিন ঠিক কী হয়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সোমবার সকালে একটি বাচ্চা শিম্পাঞ্জি তার কেয়ারটেকারের হাত ধরে ঘুরছিল। সেই সময় ৭ বছরের একটি শিম্পাঞ্জি পরিখায় জল খেতে নামে। এরপর ঘোরাঘুরি করার সময় হঠাৎ সৌর বৈদ্যুতিক তারের উপর হাত পড়ে যায় তার। শক খেয়ে ছিটকে পড়ে যায় শিম্পাঞ্জিটি। এরপরই সে লাফ মেরে বেরিয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মুহূর্তে শিম্পাঞ্জির খাঁচার সামনে থাকা দর্শকরা। পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিসকুমার সামন্ত। তাঁর কথায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা ২০ নাগাদ একটি বাচ্চা শিম্পাঞ্জি তার কেয়ারটেকারের হাত ধরে ঘুরছিল। সেই সময় ওই ৭ বছরের শিম্পাঞ্জিটি লোহার বেড়ার বাইরে বেরিয়ে পড়ে। খবর পেয়েই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শিম্পাঞ্জির খাঁচার সামনে এসে দর্শকদের সরিয়ে দেয়। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানার মূল ফটক। প্রথমেই তাকে বাগে আনা যায়নি।

তবে ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ওটি পোষ মানা ছিল বলে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। খাঁচা থেকে বেরিয়ে শিম্পাঞ্জিটি ঘুরতে থাকে। দর্শকদের মধ্যে ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে আপাতত নিজের জায়গাতেই আছে সে। শারীরিকভাবে কোনও সমস্যা নেই, সুস্থ আছে বুড়ি। ৭ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয় এই শিম্পাঞ্জিটিকে। একেবারেই ছোট থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়েছে সে।

এমনিতে বেশ মিষ্টি স্বভাবের শিপাঞ্জি বুড়ি। তবে দুষ্টুমিতেও সে বেশ ওস্তাদ। তার এই দুষ্টু-মিষ্টি স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত চিড়িয়াখানার কর্মীরা। সেই মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা রয়েছে। বুড়ির এবং অন্যান্য শিপাঞ্জিদের খাঁচার চারপাশে সৌরবিদ্যুৎ চালিত তার দেওয়া আছে। আবার কাচের আবরণও দেওয়া আছে। এই গণ্ডির মধ্যেই থাকে বুড়ি। মাঝেমধ্যে তারও একটু বাইরে যেতে ইচ্ছে করে। সেই জন্যই এমন কাজ হয়তো করে বসে বলে মত অনেকের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version