কলকাতা ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রতিবাদ-আন্দোলন। অশান্তি রুখতে তাই ফের আসরে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন। বলে দেন, এ সব হিংসাত্মক বরদাস্ত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির বহিষ্কৃত বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিজনক মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় দেশ। টুইটারে যে মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ। এ রাজ্যে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ও রেল অবরোধ করা হয়। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে গত বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কার্যত হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর আরজি জানিয়েছিলেন, “দয়া করে রাস্তা অবরোধ করবেন না। আন্দোলন করতে হলে দিল্লি গিয়ে করুন। রাস্তা অবরোধ তুলে নিন, মানুষকে ঘরে ফিরতে দিন।”
কিন্তু তাঁর সেই আবেদন উপেক্ষা করে শুক্রবারও দিনভর চলে বিক্ষোভ। বরং সেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। দফায় দফায় জ্বলে আগুন। যার জেরে একাধিক এলাকায় জারি করতে হয় ১৪৪ ধারা। বন্ধ করা হয় হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ, শনিবারও বিক্ষোভে ইতি পড়েনি। তাই এবার টুইটে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
তিনি লেখেন, “আগেও বলেছি, দু’দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?”
নূপুর শর্মার গ্রেপ্তারির দাবিতেই চতুর্দিকে অশান্তির পরিবেশ। আর সেই কারণেই এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা। তবে যাঁরা তাঁর আবেদন অমান্য করে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যে কড়া ব্যবস্থা নেবে, তাও এবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।