কলকাতা ব্যুরো: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন। তার আগে সোমবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মেলায় আগত পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত বাস, ট্রেন চলবে। এদিনের বৈঠকে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা এবং কোভিডবিধি নিয়েও খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, এবার মেলা হবে প্লাস্টিক মুক্ত।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রেলের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাওড়া এবং শিয়ালদহ-নামখানায় অতিরিক্ত ট্রেন চলবে। থাকবে ৭০টি বাড়তি ট্রেন। তবে শুধু ট্রেন নয়, সরকারি-বেসরকারি নিয়ে ২২৫০টি বাস চলাচল করবে মেলার সময়। এছাড়া দুর্ঘটনা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। খবর পেলেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন ভলান্টিয়াররা। মানুষকে সচেতন করতে হাজারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাড়ে ৬ হাজার ভলান্টিয়ার থাকবেন মেলায়। দুর্ঘটনা রুখতে মেলা পর্যন্ত রাস্তায় থাকবেন বাইক আরোহী সার্জেন্টরা। পাশাপাশি নজরদারি চালাতে মেলায় থাকছে সিসিটিভি। অগ্নিকাণ্ড রুখতে থাকছে ২৫টি ইঞ্জিন। ১০টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনার পরীক্ষা করাতে মেলায় মেডিক্যাল স্ক্রিনিং ক্যাম্প থাকবে ১৩টি। ময়দানে বাসে ওঠার আগে তীর্থযাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হবে। মেলার এলাকায় থাকছে ৬০০ শয্যার একটি কোভিড হাসপাতাল। থাকছে ৫টি আইসোলেশন সেন্টার। সকলকে মাস্ক পরতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মাস্ক বিলি করবে সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও।
তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ওমিক্রন নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকই বাইরে থেকে ওমিক্রন নিয়ে রাজ্যে আসছে। তাই প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি কড়াকড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্তকতা প্রয়োজন হলেও এখনই বিধিনিষেধের দরকার নেই। তবে যদি প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে ওমিক্রনকে রুখতে জারি হতে পারে কড়া বিধিনিষেধ। নবান্নের তরফে রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে কী প্রস্তুতি? দেখুন!
হাওড়া এবং শিয়ালদহ-নামখানা রুটে অতিরিক্ত ৭০টি ট্রেন চলবে।
চলবে বাড়তি সরকারি-বেসরকারি বাস। মেলার দিনগুলিতে চলবে ২,২৫০টি বাস।
মানুষকে সচেতন করতে মেলায় ১০০০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলো হিন্দিতে লিখে গঙ্গাসাগর মেলায় ডিসপ্লে করার নির্দেশ।
নজরদারির জন্য মেলায় থাকছে ১,০৫০টি সিসিটিভি।
অগ্নিকাণ্ড রুখতে থাকছে ২৫টি ইঞ্জিন ও ১০টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন।
করোনা রুখতে মেলায় ১৩টি মেডিক্যাল স্ক্রিনিং ক্যাম্প থাকবে।
কলকাতায় ময়দান থেকে সাগরগামী বাসে ওঠার আগে হবে RT-PCR টেস্ট। থাকছে ১৩টি পৃথক ক্যাম্প।
মেলায় ৬০০ শয্যার একটি কোভিড হাসপাতাল ও ৫টি আইসোলেশন সেন্টারের আয়োজন রয়েছে।
সকলকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক বিলি করবে সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি।
মেলায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে পিজি পর্যন্ত গ্রীন করিডর করার নির্দেশ।
কলকাতায় ২৪x৭ কন্ট্রোল রুম খোলার পরামর্শ।
প্রত্যেক বাস স্টপে মে আই হেল্প ইউ ডেস্ক।