কলকাতা ব্যুরো: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে শনিবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সেই জায়গায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন চরণজিৎ সিং চান্নি। রবিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বাছতে দফায় দফায় বৈঠক হয় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাড়িতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে রাহুল গান্ধী বৈঠক করেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও ৷ সেই বৈঠকেই চরনজিতের নামে সিলমোহর দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড ৷
এর আগে কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত টুইট করে চরণজিৎ সিং চান্নির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৷ রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সুখজিন্দর সিং রানধাওয়ার নাম শোনা গেলেও পরে চরণজিৎ সিং চান্নিকেই বেছে নেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পদত্যাগ করেন ৷ তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একাধিক নাম ভেসে আসছিল ৷ এর মধ্যে নভোজিৎ সিং সিধুর নামও ছিল ৷ যদিও সিধুর ব্যাপারে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিলেন অমরিন্দর ৷ আগামী বছরই পঞ্জাব বিধানসভার ভোট ৷ সেই ভোটের আগে ক্যাপ্টেনকে চটাতে চায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তাই সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী করার আর ঝুঁকি নেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
এদিকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া ৷ তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের ৷ আমার এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র হতাশা নেই ৷ আমি চরণজিৎ সিং চান্নিকে সবরকম সাহায্য করব ৷ আমি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি ৷ “
তবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই পঞ্জাবে শুরু হয়েছে নতুন সরকার তৈরির তৎপরতা ৷ ইতিমধ্যেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সরকার তৈরির দাবি নিয়ে ৷ রাজভবনে পৌঁছেছেন চরণজিৎ সিং চান্নির পরিবারের সদস্যরাও ৷