কলকাতা ব্যুরো: ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’-এর বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ এবং অশান্তির মধ্যেই ঢোঁক গিলতে হয়েছে কেন্দ্রকে। এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩ বছর কিন্তু, তাতেও বিক্ষোভ বাগে আসেনি। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের বার্তা দিতে মাঠে নামলেন কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। রাজনাথ সিং থেকে অমিত শাহ, একের পর এক টুইটে দেশের তরুণ প্রজন্মকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন তাঁরা।
অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের বিরোধিতায় গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের নানা প্রান্তে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আগুন। ছড়াচ্ছে অশান্তিও। এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে টুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প ঘোষণা করল, যুবসমাজ এই প্রকল্পে থেকে কীভাবে উপকৃত হবে, টুইটে সে সবই বোঝানোর চেষ্টা করেন অমিত। তিনি লেখেন, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত দু’বছর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ থমকে ছিল। এই পরিস্থিতিতে তরুণদের প্রয়োজনের প্রতি সংবেদনশীল হয়েই অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় আবেদন করার জন্য প্রথম বছরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদিজি।
অমিত শাহের দাবি, এই সিদ্ধান্তে অসংখ্য তরুণ উপকৃত হবেন। এই পথে হেঁটেই তারা দেশসেবার রাস্তায় এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও নয়া এই প্রকল্পের সমর্থনে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ভারতের যুব সম্প্রদায়ের কাছে অগ্নিপথ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁরা প্রতিরক্ষাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার এবং দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার সুযোগ পাবেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনীতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। যুবসমাজের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন এর জন্য প্রস্তুত থাকেন।
একই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন জানানোর বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষিত হতেই তিনি লেখেন, আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংবেদনশীল হয়েই বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় দু’বছরের ছাড় দেওয়া হয়েছে। অতিমারির জন্য যে তরুণরা দেশসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা উপকৃত হবেন। এই সময়োচিত এবং সংবেদনশীল পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।