কলকাতা ব্যুরো: স্কুল চালু হলেও সেখানে পড়ুয়াদের আসাটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু পড়ুয়াদের স্কুলে আসার জন্য অভিভাবকদের অনুমতি বাধ্যতামূলক। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। দেশে স্কুল, কলেজ চালুর ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর শনিবার প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
দেশে স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কনটেইনমেন্ট জোন এর বাইরে ১৫ অক্টোবর থেকে চালু করার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গ বলতে গিয়েই, এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনুমতি বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দেন।
কেন্দ্র স্কুল-কলেজ চালুর অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, করোনা আবহে এখনো পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার তুলনায়, অনলাইনে পড়াশোনা বেশি জরুরি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনো পর্যন্ত করানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে অনলাইনে পরানোর পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাড়িতে পড়ুয়ারা যে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করবেন, তা যেন যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। চোখে যাতে তাদের চাপ না পড়ে সে কারণে ল্যাপটপ কম্পিউটার বা মোবাইল এর মত ডিভাইস যথেষ্ট স্পষ্ট দেখা যায়।একভাবে ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থেকে যাতে পড়ুয়াদের চোখের সমস্যা না হয় সে কারণে কেন্দ্র নার্সারির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট, ৯০ মিনিট ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য এবং নাইন থেকে টুয়েলভের পড়ুয়াদের জন্য তিন ঘন্টা সময় ক্লাস করানোর জন্য বেঁধে দিয়েছে।
নার্সারিতে পড়ুয়াদের যে আধঘন্টা পড়ানো হবে সেই সময়ে তাদের অভিভাবকদের বাচ্চাদের পাশে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত পড়ুয়াদের দুটি ভাগে ৪৫ মিনিট করে সময় দিয়ে পড়ানোর কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আবার তার পরের ধাপে চারটি ভাগে ভাগ করে ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।