কলকাতা ব্যুরো: নাহ! আর যেমন তেমন ভাবে নয়। মানতে হবে কড়া নিয়ম। বাইক নিয়ে নিজের মর্জিমতো দাপিয়ে বেড়ার দিন শেষ। সপ্তাহ শেষে বা অফিসের ছুটি নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধানে হঠাৎ বেরিয়ে যাওয়ার দিনে একটু হলেও ব্রেক কষে দিলো কেন্দ্রীয় সরকার। এখন শুধু বেরিয়ে পড়লেই চলবে না। তার আগে নির্দেশিকা মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সবাইকেই মানতে হবে। একাধিক বিষয় মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’চাকা গাড়িতে চড়ার মজা অবশ্যই আনন্দদায়ক কিন্তু মুহূর্তের অসাবধানতায় এই গাড়িই হয়ে উঠতে পারে ভিলেন। শুধু যিনি গাড়ি চালাচ্ছেন তিনিই নন, যিনি গাড়ি চড়ছেন তার নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রাখা সবসময় উচিত। হামেশাই প্রকাশ্যে আসে গাড়ির পিছনে থাকা ব্যক্তির একাধিক কারনে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর বিষয়। তাই আর কোণও ঝুঁকি নয় দুর্ঘটনা কমানো এবং যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্র।

দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। চুপ করে বসে নেই প্রশাসনও। এবার সওয়ারিদের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধি চালু করল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেলস আইন (১৯৮৯) সংশোধন করা হয়েছে। আর তার পরই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। দুর্ঘটনা কমাতেই কেন্দ্রীয় পরিবহণ দফতর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গিয়েছে, গাড়ি তৈরি ও গাড়ির ফিচারে কিছু পরিবর্তন করা হবে। জাতীয় সড়কে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেক কিছুতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বাইক চালকদের জন্যও।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—

বাইক চালকের পিছনের সিটের দুই পাশেই “হ্যান্ড হোল্ড” লাগানো বাধ্যতামূলক। এই সিদ্ধান্ত বাইকের পিছনের সিটের আরোহীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে।

বাইকের দু’পাশে থাকতে হবে পাদানি।

পিছনের আসনে বসা যাত্রীর কাপড় পিছনের চাকায় জড়িয়ে বহু দুর্ঘটনা হয়েছে। তা রুখতে এবার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কেন্দ্র। নতুন নির্দেশিকায় পিছনের চাকার অন্তত অর্ধেক অংশ ঢেকে দিতে হবে।

বাইকে অন্তত একটি লাগেজ বক্স রাখতে হবে। তার মাপ চওড়ায় হবে সর্বাধিক ৫১০ মিলিমিটার। উচ্চতা হবে ৫০০ মিলিমিটার। তবে পিছনের আসনের পাশে ওই লাগেজ বক্স থাকলে চালক ছাড়া অন্য কেউ ওই বাইকে চড়তে পারবেন না।

এছাড়া সর্বোচ্চ ৩.৫ টন ওজন পর্যন্ত গাড়িতে টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সেন্সর সিস্টেম। এর সাহায্যে গাড়ির চাকায় কখন কতটা হাওয়া রয়েছে তা বুঝতে পারা যাবে।

এছাড়াও গাড়িতে টায়ার সার্ভার টুলকিট মজুত রাখতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এটা দেশের সব জায়গায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয় সেই দিকে একটু নজর দেওয়া উচিত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version