কলকাতা ব্যুরো: (প্রতীকী ছবি) বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে একদিকে অভিভাবকদের থেকে নানা উপায়ে বেতন হিসেবে পয়সা নেওয়ার অভিযোগের সঙ্গেই শিক্ষক কর্মীদের -আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ ছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ওঠা অভিযোগ সবকিছুকে ছাপিয়ে যেতে বসেছে। মিরাট এর একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে সেখানকার ৫২ জন শিক্ষক শৌচাগারে বসানো সিসিটিভি থেকে পাওয়া ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে এবং দিনের-পর-দিন বেতন ছাড়া তাদের কাজ করতে বলা হচ্ছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় ওই শিক্ষকরা অভিযোগ জানানোর পর একটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দলকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য নামিয়েছে পুলিশ। স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ সেখানকার পরিচালন কমিটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সম্পাদক সিসিটিভির থেকে পাওয়া শৌচাগারের ছবি দেখিয়ে তাদের বিনা বেতনে গত কয়েক মাস ধরে কাজ করতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
যদিও ওই সম্পাদক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কিছুদিন আগে শৌচাগারে একটি আত্মহত্যার ঘটনা খবর পাওয়ার পর তারা পুরুষ শৌচাগারে সিসিটিভি বসিয়েছেন। আর গত কয়েক মাস ধরে বেতন না দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, স্কুলের আর্থিক অবস্থা খারাপ হতেই তিনি বেতন দিতে পারছেন না। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত এই স্কুলের বিরুদ্ধে তিন বছর আগে ছাত্রদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর আদলে চুল কাটার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে তখন প্রবল বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে।