কলকাতা ব্যুরো: বগটুই কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে রামপুরহাট থানার প্রাক্তন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক। আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনার রাতে তিনিই রামপুরহাট থানার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই একদফা জেরা করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷ তবে তদন্তকারীরা তাঁকে আরও একবার জেরা করতে চান ৷ এমনকী তাঁর ফোনও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে। তাই তাঁকে ফের সমন পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় রামপুরহাটের আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিকের ভূমিকা সন্দেহজনক ৷ প্রথমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারীরা ৷ সেই কারণেই ফের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ওই পুলিশ আধিকারিকের ফোনও পরীক্ষা করে দেখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের ওই সূত্রের দাবি, ত্রিদীপের ফোনের সূত্র থেকেই বগটুই-কাণ্ডের অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে। প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই জানতে পেরেছে যে সেই রাতে রাজনৈতিক এক প্রভাবশালীর ফোন এসেছিল ত্রিদীপের কাছে। সেই ফোনের ওপারে কে ছিলেন? তিনি কী নির্দেশ দিয়েছিলেন? আপাতত সিবিআই আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন ৷ ত্রিদীপকে আরও একবার জেরা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
এছাড়া বগটুই নিয়ে সিবিআই আরও কিছু প্রশ্ন করতে পারে ত্রিদীপকে। সূত্রের খবর, সিবিআই জানতে চাইবে ঘটনার দিন তিনি রাজ্য পুলিশের কোন কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন? তাঁদের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিলো? বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে তিনি কখন ফোন করেছিলেন? জবাবে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী আইসিকে এই ঘটনায় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছিলেন?
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, তদন্তে নেমে বারবার বগটুই-কাণ্ডে বারবার পুলিশের গাফলতি নজরে এসেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটনার সময় পুলিশ কেন এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সেটাও জানতে হলে ত্রিদীপকে জেরা করা জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা কারণ, কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনেই কি পুলিশ সেই রাতে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়, আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর জানতে মরিয়া সিবিআই।