কলকাতা ব্যুরো: প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির সমস্ত মামলাই এ বার থেকে তদন্ত করবে সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। সিবিআই সিলবন্দি খামে গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট জমা করেছে হাইকোর্টে।
যে সিট প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে, তার সদস্যরা হলেন, ধর্মবীর সিংহ, সত্যেন্দ্র সিং, কেসি ঋষিনামল (এঁর নাম পুনর্বিবেচনা করার আর্জি করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য) সোমনাথ বিশ্বাস, মলয় দাস, ইমরান আসিক। এই ছয় জনের নাম জানানো হয়েছে। জয়েন্ট ডিরেক্টর এন বেণুগোপাল তদন্তের সুপারভাইজ করবেন। আর সিটের নেতৃত্ব দেবেন কলকাতা শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র। সিবিআই সিলবন্দি খামে গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট জমা করেছে হাইকোর্টে।
বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীকে তিনটি বিষয় আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
২৭৮৭ জন প্রার্থী, যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের আবেদন পত্র আদালতে জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নম্বর বাড়ানোর জন্য যে এক্সপার্ট কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, সেই কমিটির সদস্যদের নাম জানাতে হবে। কমিটির রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রাথমিক পর্ষদের বৈঠকে নম্বর দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেই রেজলিউশন আনতে হবে আদালতে।
সোমবার বেলা তিনটেতে ফের এই মামলার শুনানি হবে। এ দিন ফের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস প্রস্তাব দেন যে, সমস্ত তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক জয়েন্ট ডিরেক্টর বেণুগোপালকে। কিন্তু সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী জানান, সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরের দায়িত্বে রয়েছে পুরো কলকাতা জোন যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, শিলিগুড়ি, পোর্ট ব্লেয়ার এবং ভুবনেশ্বর। তাঁকে শুধু একটা মামলায় যুক্ত করলে অন্যান্য তদন্তে সমস্যা হবে। জয়েন্ট ডিরেক্টর তদন্তের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত অনেক তর্কবিতর্কের পর বিচারপতি তাতে রাজি হন।
এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো এ দিন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী প্রথম দফার ৭ লক্ষের বেশি টাকা ফেরত দিয়েছেন আদালতে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত যে মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মামলাগুলির আইনগত দিক নিয়ে ৪৫ মিনিটের একটা সওয়াল করার আর্জি জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে সম্মতি দিয়েছেন বিচারপতি। তবে সেটা কবে হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশ দেননি তিনি।