এক নজরে

Municipal Election: রাজ্যে অবিলম্বে পুরভোট চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলা

By admin

November 08, 2021

কলকাতা ব্যুরো: যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্যে করানো হোক ভোট। রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এবং পৌরসভায় পুরভোট করানোর নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যে পুরভোট করানোর আইনি নির্দেশ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন মৌসুমী রায়। ১৭ নভেম্বর মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে হাইকোর্টের একটি নির্দেশকে ধরেই এই মামলা। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, এখনও এই ব্যাপারে কমিশনের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও সামনে আসেনি। সোমবার আদালতের সামনে আইনজীবী বলেন, ‘এরাজ্যে ২০১৮ সালে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিন বছর পরেও নির্বাচন হয়নি এমন উদাহরণও রয়েছে।’ মামলায় ফের সবপক্ষকে নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মুহূ্র্তে রাজ্যে মেয়াদ শেষ হওয়া পুরসভার সংখ্যা ১১২টি। এছাড়াও রয়েছে উত্তরবঙ্গের দুটি নতুন পুরসভা ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে। বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে এই পুরবোর্ডের নির্বাচনের গুরুত্ব কোনও অংশে বিধানসভা ভোটের থেকে কম নয়। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের-এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৭ মে।

একইসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্ন এখন হাওড়া পুরসভা অঞ্চলের অন্তর্গত হওয়ায় এই পুরবোর্ডের নির্বাচনেরও গুরুত্ব বেড়েছে। হাওড়া পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয় আরও আগে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর। সেখানে আইন মেনেই প্রশাসক বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। পর পর দু’বার এই বোর্ড পরিবর্তনও করা হয়েছে। এই পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬।

উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন পর্ব শেষ হতেই ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। রাজ্য সরকার ১৯ ডিসেম্বর এই ভোট করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৯ তারিখ নির্বাচন হলে রাজ্য গণনা চায় ২২ ডিসেম্বর। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। কালীপুজো উপলক্ষে সরকারি অফিস ছুটি থাকায় এখনও কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।