কলকাতা ব্যুরো: ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গন। ঘটনাস্থল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার স্নাতকোত্তরে আসন বৃদ্ধির দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। ঘেরাও করা হয় উপাচার্যের গাড়িও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
স্নাতকোত্তরে অনলাইনে পরীক্ষা হয়েছে। তার ফলে অনেকেই বেশি নম্বর পেয়েছেন বলেই দাবি পড়ুয়াদের। তবে স্নাতকোত্তরে আসন সংখ্যা কম হওয়ায় ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। তাই আসন বৃদ্ধির দাবিতে সরব পড়ুয়ারা। উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলার চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। তবে উপাচার্য পড়ুয়াদের কথাবার্তায় কান দেননি বলেই অভিযোগ।
সোমবার সকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী যখন গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সামনে জড়ো হয়ে যান পড়ুয়ারা। গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। গেট টপকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশ। গাড়ির সামনে বসে পড়েন তাঁরা। আসন বৃদ্ধির দাবিতে উপাচার্যের সামনে সরব হন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। পুলিশ কর্মীরা পড়ুয়াদের টেনে সরিয়ে দেয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তবে মূল সমস্যা অর্থাৎ আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি উপাচার্য। তবে ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি না করলে, পরবর্তী কালে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।
ছাত্রছাত্রীদের আরও অভিযোগ, পড়ুয়াদের বিক্ষোভকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ঢুকতে দেন উপাচার্য। অভিযোগ, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ হঠাতে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ধেয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।
তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবিপূরণ হবে, ততক্ষণ আন্দোলন জারি থাকবে বলেই জানান বিক্ষোভকারীরা। এখনও পর্যন্ত ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।