এক নজরে

#MetroDairy: মেট্রো ডেয়ারি মামলায় হস্তক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

By admin

June 13, 2022

কলকাতা ব্যুরো: মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তর মামলায় বড়সড় স্বস্তি রাজ্য সরকারের। প্রশানের নীতিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না উচ্চ আদালত। সোমবার মামলার রায়ে এমনই জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন লোকসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। দীর্ঘদিন শুনানির পর সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অভিযোগ ছিল, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ারে হাত বদলের পিছনে বিরাট দুর্নীতি রয়েছে। মেট্রো ডেয়ারি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা। তা সত্ত্বেও ৪৩ শতাংশ শেয়ার একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। যার অঙ্ক ৮৫ কোটি টাকার বেশি। যে সংস্থার কাছে এই শেয়ার বিক্রি হয়েছে, তারা সস্তায় কেনা সেই শেয়ারের অংশ চড়া দামে অন্য এক সংস্থাকে বিক্রি করেছে।

মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, ১৯৯১ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিল্ক প্রোডিউসারস ফেডারেশন, ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করে মেট্রো ডেয়ারি তৈরি হয়েছিল। তাতে ফেডারেশনের ৪৭ শতাংশ, বোর্ডের ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি সংস্থার ৪৩ শতাংশ শেয়ার ছিল।

পরবর্তীকালে বোর্ডের ১০ শতাংশ শেয়ার ওই বেসরকারি সংস্থা নিয়ে নেয়। বছর কয়েক আগে রাজ্য সরকার সাড়ে ৮৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৪৭ শতাংশ শেয়ার ওই বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে। মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, পরবর্তীকালে দেখা যায়, ওই বেসরকারি সংস্থা মেট্রো ডেয়ারির ১৫ শতাংশ শেয়ার সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থাকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে। অধীরবাবুর অভিযোগ, এই শেয়ার হস্তান্তরে জালিয়াতি হয়েছে এবং এর সঙ্গে জনগণের টাকা তছরুপের বিষয় জড়িত।

দীর্ঘ চার বছর আগে দায়ের হওয়া মামলায় শুনানি শেষে গত সপ্তাহে রায় দান স্থগিত রাখে হাইকোর্ট। তবে সোমবার রায়দান করে অধীররঞ্জন চৌধুরীর আবেদন খারিজ করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ।