কলকাতা ব্যুরো: করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে গত বছরের মতো এবারও দর্শকশূন্য রাখতে হবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হয়। মামলাকারী হাওড়ার বাসিন্দা অজয়কুমার দে। তাঁর যুক্তি ছিল, উৎসবের আবহে করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে হলে মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত আবশ্যক। মামলাকারীর এই যুক্তি মেনে নেয় আদালত এবং তারই প্রেক্ষিতে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, সবকিছু মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। মানুষকেও সচতেন হতে হবে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আদালতকে তিনি জানান, গত বছরই দুর্গাপুজোর মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট দু’টি নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবারও সেই দু’টি নির্দেশ মেনে চলবে রাজ্য সরকার। তাতে সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও।
প্রসঙ্গত, গত বছরও একই কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবারের মামলার মামলাকারী অজয়কুমার দে। সেবার মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি সঞ্জীবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতেই গত বছরের ১৯ অক্টোবর ও ২১ অক্টোবর পরপর দু’টি নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে বলা হয়, ছোট পুজোমণ্ডপগুলিতে ৫ মিটার পর্যন্ত এবং বড় পুজোমণ্ডপগুলিতে ১০ মিটার পর্যন্ত ব্যারিকেড দিতে হবে। তার বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে দর্শনার্থীদের।
এর পাশাপাশি, বড় মণ্ডপগুলিতে সর্বাধিক ৬০ জনের এবং ছোট মণ্ডপগুলিতে সর্বাধিক ১৫ জনের উপস্থিতি বেঁধে দেয় আদালত। বলা হয়, সারাদিনে তার থেকে বেশি লোক পুজোমণ্ডপে ঢুকতে পারবে না। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের এই বিধিনিষেধ এবছরও জারি থাকছে। এবারও ঢাকিরা ব্যারিকেডের ভিতরের ‘নো এন্ট্রি জোন’-এর মধ্যে থেকে ঢাক বাজাতে পারবেন। তবে পুজোয় অঞ্জলি দেওয়া বা দশমীতে সিঁদুর খেলা যাবে না।