%%sitename%%

এক নজরে

By Election: ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট কেন?

By admin

September 23, 2021

কলকাতা ব্যুরো: কোন বাধ্যবাধকতা থেকে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনের কাছে তার ব্যাখ্যা চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ভারতপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। বেঞ্চের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়, শুক্রবারের মধ্যেই এই বিষয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে ৷

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্য সচিব কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি করে, ভবানীপুর কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। মুখ্য সচিব এর সেই বক্তব্য ভোট ঘোষণা করতে গিয়ে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে জুড়ে দেয়। বিজ্ঞপ্তির ৬ ও ৭ নাম্বার অনুচ্ছেদে দেওয়া এই অংশ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কমিশনকে হলফনামায় তার ব্যাখ্যা ও নিজের অবস্থা এই দুই বিষয় জানাতে হবে৷ বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তিনি বলেন, আদালতে কোনও ইলেকশন পিটিশন বিচারাধীন থাকলে নির্বাচন করা যায় না ৷ পাশাপাশি, ভবানীপুর কেন্দ্রে এখনই নির্বাচন কলন করলে কীসের কনস্টিটিউশনাল ক্রাইসিস (সাংবিধানিক সঙ্কট) ওখানে তৈরি হবে?

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৯ ধারায় বলা আছে, উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা একেবারেই আদালতের গ্রহণ করা উচিত নয়৷ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ আছে ৷ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিন্দাল বলেন, যদি দেখা যায় কোনও দুর্নীতি চলছে, দুর্নীতি থেকে বাঁচতে কোনও জনপ্রতিনিধি যদি নির্বাচন করাতে বাধ্য করান, সেক্ষেত্রে কি আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না? নির্বাচন কমিশনের তরফ তখন বলা হয়, একবার কোথাও নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে তার উপর কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া যায় না ৷ এটি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার ৷

তখন মামলাকারীর তরফে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানতে চান, কিন্তু সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কি নির্বাচন কমিশন এইভাবে নির্বাচন করাতে পারে? এইভাবে কি প্রশাসনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে না? এর জবাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়াটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ৷ ১৯৯০ সাল থেকে এই বিধি মেনে চলছে কমিশন।

আর এই সওয়াল জবাব শোনার পরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়, সাংবিধানিক সংকট ও ভোট করানোর বাধ্যবাধকতা নিয়ে যে দুটি অনুচ্ছেদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে কমিশন সেই ব্যাপারে ব্যাখ্যা শুক্রবারই আদালতে হলফনামার মাধ্যমে জমা দিতে হবে তাদের ৷