কলকাতা ব্যুরো: বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জিতে জনস্বার্থ মামলার শুনানি। রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাদের।

গত ২২ জানুয়ারি  বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটাভুটির কথা ছিল। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। সেই অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দেয়। অবশেষে ভোট পিছিয়ে যায়। সেই অনুযায়ী  আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটাভুটি। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভায় ভোটাভুটি।

তবে অভিযোগ, পুরভোটের আগে বিধাননগরে বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। তাই ভোটেও অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে বিধাননগর পুরভোট করার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।

শুনানিতে বিচারপতি রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের তরফে বিধাননগর পুরভোটে নিরাপত্তার বিষয়ে কী পরিকল্পনা তা জানতে চান। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে বিধানগর পুরভোটে নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন। ওই রিপোর্টের মধ্যে চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরভোটের নিরাপত্তার বিষয়টিও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে কলকাতা পুরভোট করার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। নানা টানাপোড়েনের পর হাই কোর্টে সে আর্জি খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে রাজ্য পুলিশের উপস্থিতিতে কলকাতায় পুরভোট হয়। তবে প্রত্যেকটি বুথেই সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা হয়। ভিডিওগ্রাফি করারও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আরজি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কী জানায় হাইকোর্ট, সেদিকেই নজর সকলের।   

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version