কলকাতা ব্যুরো: ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে এসএসসি মামলায়। এবার ৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যকেই সিবিআই-জেরা করার অনুমতি দিল আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার রাতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা এস পি সিনহাকে জেরা করে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের রিপোর্ট শুক্রবার পেশ করার কথা। তবে তার আগেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আরও কড়া পদক্ষেপ করল আদালত। বিতর্কিত ৯৮ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন অবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ৯৮ জন কর্মী প্রবেশ করতে পারবেন না স্কুলে।
পাশাপাশি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, এস পি সিনহা ছাড়াও এই কমিটিতে যে চারজন ছিলেন, তাঁদের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে এফআইআরও করতে পারবে। যদিও এই কমিটির পাঁচজন ছাড়া এই দুর্নীতিতে কারও যোগ মেলে, সেক্ষেত্রে তিনি যে-ই হোন না কেন, তাঁকে তলব করতে পারে সিবিআই। আগামী সোমবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই এবং শিক্ষা দপ্তরের সচিব।
বৃহস্পতিবার এসএসসি নিয়োগে বেনিয়ম মামলায় এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জেরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটায় হাজিরার বিষয়টি জানতে পারেন এসপি সিনহা। রাত ৯ টার সময় এস পি সিনহার আইনজীবীরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে যান। রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। রাত সাড়ে এগারোটারও পরে নিজেই নিজাম প্যালেসে যান এস পি সিনহা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় এসএসসির চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি। ৪ মে ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, ৯০-এর বেশি প্রার্থীর নাম প্যানেলে নেই। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।