কলকাতা ব্যুরো: এসএসসি মামলায় আরও চার সপ্তাহের জন্য স্বস্তি পেয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আগামী ১৩ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের সমস্ত নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। যার অর্থ, আগামী ১৩ মে পর্যন্ত এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলায় সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি যেমন তদন্ত করেছে, তেমনই তদন্ত করবে। বাগ কমিটি ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটির চেয়ারপার্সন তদন্তের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিল সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণযোগ্য নয়। বাগ কমিটিই তদন্ত করবে অর্থাৎ এই মামলায় আপাতত সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। এছাড়া বাগ ক্মিটিকে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধান রিপোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট নিয়ে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কোর্ট চত্বরে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে প্রবেশ করা নিয়ে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম সমর্থিত আইনজীবীদের তুমুল ধস্তাধস্তি, চেঁচামেচি। কার্যত ঠেলে ভিতরে ঢুকেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের মতো আইনজীবীরা। তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীরা বাধা দিতে গেলে বিজেপি ও বাম শিবিরের আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
এদিন ১৭ নং কোর্টের সামনে সকালের ঘটনার পর দুজন আইনজীবী এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতি বলেন, এখানে সবাই একে অপরের ভাই-বোনের মতো। তাই নিজেদের মধ্যে সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বয়কট করা নিয়ে আইনজীবীদের মতবিরোধ মঙ্গলবারই সামনে এসেছিলো। মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ১৭ নং এজলাসে আটকে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয় প্রধান বিচারপতিকেও।