কলকাতা ব্যুরো : ট্রেনের চাকা ঘুরতে আরম্ভ করেছে বেশ কয়েকদিন হল । কিন্তু স্টেশন চত্বরে এখনো ব্রাত্য হকার ও টোটো এবং অটোচালকেরা। হকারদের স্টেশনের প্লাটফর্মের ধারে কাছে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না। স্টেশন চত্বরে ঢুকতে পারছে না টোটো এবং সাইকেল রিক্সা। ট্রেন চলাচল শুরু হলেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে হকার অটোচালকদের মধ্যে। বহুদিন ধরেই তাদের রোজকার বন্ধ। তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে দিতে হবে বলে দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করলেন বর্ধমান স্টেশন চত্বরের হকার, দোকান মালিক এবং অটোচালকেরা। তারা জানিয়েছেন অনুমতি না দেওয়া হলে আন্দোলন আরো জোরদার হবে। স্টেশন চত্বর অচল করে দিয়ে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান স্টেশন চত্বর বহু মানুষের রুজি-রুটির সংস্থান। ট্রেন চলাচল করলে উপার্জনের আশায় সবাই এত দিন দিন গুনছিলেন। বুধবার থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলো। কিন্তু রেলের জায়গায় অস্থায়ী দোকান মালিকদের বসতে দেওয়া হয়নি। চা, মুড়ি, চপ, পাউরুটি কেক বিস্কুট এর পসরা সাজিয়ে যারা বসতেন তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
একইভাবে প্লাটফর্ম বা ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছেনা হকারদের। ফলে কয়েকশো হকারের রুজি রোজগার এখনো বন্ধ। স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার অটোচালক রেলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।
আই এন টি টি ইউ সি নেতা ইফতিকার আহমেদ জানিয়েছেন, স্টেশন চত্বরে বহুবছর ধরে মানুষ রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে আসছে। লকডাউন এর জন্য হকারেরা কাজ হারিয়েছে। তাই হকারদের স্টেশনের প্লাটফর্মের বা ট্রেনের কামরায় কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে বড় সর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে আইএনটিটিইউসি তরফ থেকে।