কলকাতা ব্যুরো: নাগরোটা টোলপ্লাজায় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে মৃত চারজন কোথা দিয়ে ভারতে ঢুকে ছিল তার নতুন তথ্য উঠে এলো সেনাবাহিনীর কাছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষে (কত লম্বা সে ব্যাপারে দু রকম বক্তব্য পুলিশ ও বিএসএফ এর, পুলিশ বলছে দেড়শ মিটার লম্বা আর বিএসএফ বলছে ৩০ থেকে ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের) একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই সুরঙ্গ দিয়েই পাকিস্তানের দিক থেকে চার জঙ্গি ভারতে ঢুকে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে যদি ধরে নেওয়া যায় পাকিস্তান থেকে ওই চারজনকে এই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়েই জইশ-ই-মহম্মদ পাঠিয়ে দিয়েছিল এ পারে হামলা চালাতে, তাতেও প্রশ্ন আছে, এখান থেকে কি করে ওই জঙ্গীরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাকে করে নাগরাটা টোল প্লাজা পর্যন্ত গেলো। এমনকি যদি জঙ্গিরা এই সুড়ঙ্গ দিয়ে ঢুকে থাকে, তাহলে কাশ্মীরে তাদের কারা ওইসব অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের যোগান দিল। এই নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই কিছু ছবি তুলে ধরেছে।জম্মু বিএসএফ এর আইজি এনএস জামওয়াল বলেছেন, যে জঙ্গিরা নাগ রটায় বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে, সম্ভবত তারা এই সুরঙ্গ দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়েছিল। তবে তাদের লোকাল কোন সোর্স এখান থেকেই হাইওয়েতে তাদের পৌঁছে দিয়েছিল।গত বৃহস্পতিবার নাগরোটা টোলপ্লাজায় চার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মারা যায়। যে ট্রাকে তারা লুকিয়ে যাচ্ছিল তার থেকে ১১ টি এ কে ফরটি সেভেন রাইফেল উদ্ধার হয়, তাছাড়া তিনটি পিস্তল, ২৯ টি গ্রেনেড, ছটি অত্যাধুনিক গ্রেনেড সহ পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। ডিজিটাল মোবাইল রেডিও, একই সঙ্গে পাকিস্তানের সিম কার্ড, মোবাইলে উদ্ধার হয়। মোবাইলের এসএমএস থেকে ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, পাকিস্তানে বসে জঙ্গি নেতা হাফেজ সঈদের ভাই এই দলটিকে অপারেট করছিল।নিরাপত্তা বাহিনীগুলি একপ্রকার নিশ্চিত, একদিকে মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলা বর্ষপূর্তিতে কাশ্মীরকে নতুন করে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা। সে ক্ষেত্রে এখন কাশ্মীরে ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল এর নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই নির্বাচনে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতেই পাকিস্তানে বসে জঙ্গিরা এখানে অপারেট করছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।