কলকাতা ব্যুরো: গত ১৫ দিনে সীমান্ত থেকে উদ্ধার একাধিক বিরল প্রজাতির প্রাণী ও পাখি। ইতিমধ্যে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে ৩৬ টি বিরল প্রজাতির পায়রা। যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সীমান্তে পাচার হওয়ার আগে পায়রাগুলি ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। পাচারকারীরা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত চৌকি তারালী এলাকা দিয়ে পায়রাগুলি পাচার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল। তবে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বন্যপ্রাণীর চোরাচালানকে ব্যর্থ করে দেয়।
মঙ্গলবার ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন, সেক্টর কলকাতার জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে রুটিন ডিউটিতে ছিল। বিকেল ৪ টে নাগাদ বিএসএফ জওয়ানদের সীমান্তে ২ সন্দেহভাজন ব্যক্তির গতিপ্রকৃতি নজরে আসে। ব্যাগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তারা। এরপরই কর্তব্যরত জওয়ানরা এগিয়ে গেলে হাতের ব্যাগ ফেলে চম্পট দেয় চোরাকারবারিরা। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পাশের একটি মাঠ থেকে ৬ টি নাইলনের ব্যাগ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে বিভিন্ন রঙের ৩৬টি পায়রা খুঁজে পাওয়া যায় বলে খবর।
পায়রাগুলো ভারতীয় সৌখিন প্রজাতির পায়রা। বিশেষত্ব পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় তাদের দেখা যায়। এই প্রজাতির পায়রাগুলো ফ্লাশ নামে পরিচিত। এদের পালক দিয়ে বিভিন্ন রকমের অলংকার তৈরি করা হয়। যা বিদেশের বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান। উদ্ধার করা পায়রাগুলিকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়ার কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ১১২ তম ব্যাটালিয়ন এর জওয়ানদের কৃতিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিউটিতে থাকা জওয়ানদের সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।