কলকাতা ব্যুরো: ফের বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃ্ত্যু। নিষিদ্ধ কাফসিরাপ ফেনসিডিল পাচারের সময় বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী পাচারকারী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগরের চৌকি নওয়াদা এলাকায়। মৃত ওই পাচারকারীর নাম ইব্রাহিম। সে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার ধুলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ আন্তর্জাতিক কাঁটাতারের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে পনেরো থেকে কুড়ি জনের সশস্ত্র একটি দলকে ব্যাগ সমেত সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় ৭০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত জওয়ানদের। তাঁরা ওই দলটিকে থামাতে চেষ্টা করলে চোরাকারবারীরা হাঁসুয়া ও ইঁট-পাথর নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার স্বার্থে বিএসএফ গুলি চালালে মৃত্যু হয় এক পাচারকারীর।

বিএসএফ জওয়ানদের গুলিতে আহত হয় এক পাচারকারী। তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে পালায় বাকি দুষ্কৃতীরা। আহত পাচারকারীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মেডিক্যাল কলেজের মর্গে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চোরাচালান বিষয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে অভিযোগ জানিয়েছে বিএসএফ।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে কাফসিরাপ ফেনসিডিল চড়া দামে বিক্রি হয়। সেই লোভে ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে নেশার দ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল দলটি। ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতরে চলে এসেছিল বলে খবর। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল, দু’টি হাঁসুয়া এবং প্রায় দু’শো বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে বিএসএফ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে তিন গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, ভোররাতে কোচবিহারের সিতাই থানা এলাকার অন্তর্গত সাতভাণ্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল কয়েকজন। অভিযোগ, এক ভারতীয় নাগরিক গরু পৌঁছে দিচ্ছিল কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত। বিষয়টি নজরে পড়তেই বাধা দেন ওই সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে গরু পাচারকারীরা। তার ফলে বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version