কলকাতা ব্যুরো: ফের আতঙ্ক শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে। এবার আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরায় বোমাতঙ্ক ছড়ালো। রবিবার দুপুরে ট্রেনটি শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে ঢোকার পরই পরিত্যক্ত লাল সুটকেস ঘিরে তৈরি হয় বোমাতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় জিআরপি, বম্ব স্কোয়াড। বাকি ট্রেন থেকে এই বগিটি বিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষা চলছে বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর। এই শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে ঢোকার মুখেই শনিবার বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এরপর রবিবার বোমাতঙ্ক। বারবার এই স্টেশনে এ ধরনের ঘটনায় যাত্রীরা বেশ আতঙ্কিত।

রেল পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ শিলিগুড়ি জংশনে ঢোকে আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার। যাত্রীরা সকলে এখানেই নেমে যান। এরপর ট্রেনটি সাফ করতে গিয়ে কর্মীদের চোখে পড়ে, D3 বগির একটি সিটের নিচে রয়েছে একটি লাল সুটকেস। কামরায় আর কোথাও কোনও সামগ্রী নেই। ফলে স্বভাবতই এই সুটকেস ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাঠানো হয় রেল পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে পৌঁছয় জিআরপি, বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা। শুরু হয় পরীক্ষা।

জানা গিয়েছে, D3 বগিটিকে গোটা ট্রেন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় প্রথমে। তারপর তা কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ওই বগিতে শুরু হয় পরীক্ষা। তল্লাশি শেষে ওই বগিটিকে গুলমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জিআরপি সূত্রে খবর। এই ঘটনায় শিলিগুড়ি স্টেশনের ওই প্ল্যাটফর্মে আপাতত কোনও ট্রেন চলাচল করছে না। স্টেশন চত্বর জুড়ে তল্লাশি চলছে। বাড়ানো হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তাও। 

শনিবার রাতেই এই স্টেশনে ঘটে আরেক দুর্ঘটনা। ফের লাইনচ্যুত হয় ‘অভিশপ্ত’ বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনটি মেরামতির জন্য শনিবার সন্ধেয় শিলিগুড়ির লোকো শেডে আনা হচ্ছিল। সেই সময় শিলিগুড়ি জংশনে ঢোকার খানিক আগেই লাইনচ্যুত হয় ইঞ্জিনটি।

এর আগে, গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির কাছে বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। বারবার উত্তরবঙ্গে রেল দুর্ঘটনা, ট্রেনে বোমাতঙ্কের ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version