কলকাতা ব্যুরো: নৌকা করে পালানোর সময় অতল সাগরে তলিয়ে গেলো রোহিঙ্গাদের নৌকা। নিখোঁজ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন। সূত্রের খবর উত্তাল বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে গিয়েছে নৌকা। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১৪ই আগস্ট বাংলাদেশের নোয়াখালির ভাসানচর থেকে একটি নৌকায় চেপে ৪০ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নৌকায় একেবারে গাদাগাদি করে মহিলা, শিশুরা ছিল। এরপরই বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের কাছে নৌকাটি আচমকা উল্টে যায়। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী যৌথভাবে অভিযানে নামে। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর ১৪জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিদের খোঁজ মিলছে না। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
তবে নোয়াখালি পুলিশ সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের তৎপরতার জন্যই অন্তত ১৪জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সম্ভবত খারাপ হাওয়ার জন্যই নৌকাটি উল্টে যায়। এদিকে গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল প্রায় ৩০৬জন রোহিঙ্গা। কিন্তু তারা যেতে পারেননি। পরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে তাদেরকে সরকারি তরফে আশ্রয় দেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতাল, মসজিদও গড়ে তোলা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, ভাসানচর ও কক্সবাজারের ৩৫টি ক্যাম্প মিলিয়ে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছেন। সূত্রের খবর শরনার্থী শিবির থেকেই তারা পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু কেন শরনার্থী শিবিরে তারা থাকতে চাইছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এক রোহিঙ্গা শরনার্থীর দাবি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তি, কক্সবাজারে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার তীব্র বাসনায় অনেকেই পালাতে চাইছেন। তারই পরিণতি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।