কলকাতা ব্যুরো: মামলার শুনানি চলছিল, আচমকাই কেঁপে উঠলো লুধিয়ানা জেলা আদালত। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। জানা গিয়েছে, আদালতের চারতলায় শৌচালয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২টা ২২ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণটি হয়। মনে করা হচ্ছে, কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরক দিয়েই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ গোটা চত্বরটি ঘিরে ফেলেছে। উপস্থিত হয়েছে বম্ব স্কোয়াডও। এনএসজি-এর তফে বম্ব ডেটা সেন্টারের আধিকারিকদেরও পাঠানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লুধিয়ানা জেলা আদালতে এদিন আইনজীবীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। বিস্ফোরণের সময়ই তারা নীচে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। ধর্মঘট থাকার কারণে সাধারণ মানুষদের ভিড় খুব একটা ছিল না, তবে কমপক্ষে ৫০ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। দুপুর ১২টা ২২ নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দ শোনা যায় আদালতের তিনতলার শৌচালয় থেকে।

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে এক মহিলা সহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা কাঁচের টুকরো। শৌচালয়ের লোহার দরজাও ভেঙে ছিটকে পড়েছে নীচের পার্কিং লটে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়েই লুধিয়ানার দিকে রওনা দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অমরিন্দর সিংও টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটে লেখেন, “লুধিয়ানা আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পেলাম। দুজনের মৃত্যুর খবরে অত্যন্ত দুঃখিত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। পঞ্জাব পুলিশকে এই ঘটনার শেষ অবধি যেতেই হবে।”
লুধিয়ানার পুলিশ কমিশনার জানান, লুধিয়ানা আদালত চত্বরের রেকর্ড রুমের পাশ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এখনও অবধি একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিতভাবে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, দুইজন আহত হয়েছেন। চণ্ডাগঢ় থেকে বম্ব ডিসপোজাল টিম ও ফরেন্সিক দলকেও ডাকা হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত করার জন্য। গোচা রাজ্যজুড়েই জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা।

মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বলেন, “এই হামলার পিছনে সমাজ বিরোধীদের হাত থাকতে পারে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, প্রশাসন সবর্দা সতর্ক রয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।”
জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা-এর তরফে একটি করে দল পাঠানো হচ্ছে লুধিয়ানায়, তারাও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।