কলকাতা ব্যুরো: বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে শটগানের গুলিতে মৃত উলেন রায়ের পরিবারের দাবি মেনে দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির আদালত পরিবার ও বিজেপির আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেয়।গত চার মাসে রাজ্যে আরও তিনটি ঘটনায় প্রথমবার ময়নাতদন্তের অসন্তুষ্ট পরিবার ও বিজেপির দাবিতে দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয়বারও ময়না তদন্তের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।সাম্প্রতিককালে একইভাবে অসল মৃত্যুর ক্ষেত্রে তিনবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের নজির রয়েছে রায়গঞ্জের অরূপ রায় নামে এক বিজেপির নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বরে। তার দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সে সময় উত্তর দিনাজপুর আদালত। কিন্তু তার পরেও পরিবার সন্তুষ্ট না হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা হয়। গত মাসে হাইকোর্ট ওই দেহ কলকাতার হাসপাতালে এনে তৃতীয়বার ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।পটাশপুর মদন ঘোরুই নামে এক বিজেপি কর্মীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক গোলমাল হয় অক্টোবরে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন জানায় পরিবার বিজেপি তাদের সঙ্গ দেয় সেখানেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদনে সাড়া দেয় হাইকোর্ট এই দুটি ক্ষেত্রে মূলত ময়নাতদন্তের নতুন যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করা হয়েছে সেই বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয় আদালতে আদালত সেই যুক্তি মেনে নেয়।চন্দননগর হাসপাতালে সদ্যজাতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল আরজিকর হাসপাতালে। বাবা সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যান। মা তখনো ভর্তি হাসপাতালে। সন্তানকে ভর্তি রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। অন্তত দিন দশেক পরে পরিবারকে জানানো হয় তাদের সন্তান মারা গিয়েছে। হাসপাতাল নিজেরাই ময়না তদন্ত করে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানিয়ে দিয়েছিল কিন্তু একদিকে শিশু চুরি ও হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ পরিবার মামলা করে হাইকোর্টে বিজেপি ও তাদের সবরকম সহযোগিতা করে। শুনানির পর সেই মামলাতেও দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।সাম্প্রতিক এই কয়েকটি ক্ষেত্রেই দেহের একাধিকবার ময়নাতদন্তের জোরালো দাবি তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে আবার এইসব মৃত ব্যক্তিদের দেহ নিয়ে পথে নেমেছে সংগঠন। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই একদিকে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেমন ঝড় তোলার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক দল, তেমনভাবেই আইনি পথেও রাজ্যের শাসক দলকে চাপে রাখার মরিয়া চেষ্টায় নবতম সংযোজন ময়নাতদন্তের দাবি তোলা।