কলকাতা ব্যুরো: বিজেপির নবান্ন অভিযান এর দিন হাওড়ায় রিভলভারসহ এক শিখ বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ধরা পড়া এবং পুলিশের তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হাওয়ার ঘটনা সামাল দিতে এবার পাল্টা বিজেপিকে কাঠ গড়ায় তুলল রাজ্য। সেই বিতর্কে নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য, ক্ষুদ্র রাজনীতির স্বার্থে একটি রাজনৈতিক দল এটাকে সাম্প্রদায়িক ইসু বানানোর চেষ্টা করছে।
স্বপক্ষে সাফাই দিয়ে ট্যুইটারে নিজেদের বক্তব্য জানালো স্বরাষ্ট্র দপ্তর। রবিবার স্বরাষ্ট্র দপ্তর টুইট করে বলেছে, এখানে শিখ ভাই-বোনেরা যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে সকলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বসবাস করেন। সকলেই তাদের সম্মান দেন। সম্প্রতি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যক্তি বেআইনিভাবে একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। কিন্তু সেই ঘটনাটি কে সামনে রেখে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার জন্য বিকৃত খবর করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের। নাম না করে বিজেপির দিকে ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য, একটি রাজনৈতিক দল এইটা কে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু বাংলার মানুষ এটাকে বিশ্বাস করবে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করেছে। কিন্তু শিখদের পাগড়ী সম্পর্কে যে সম্মান দেওয়ার তা দেয় রাজ্যের পুলিশ।
ব্যারাকপুরের এক বিজেপি নেতা নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে বিজেপির নবান্ন অভিযান হাওড়ার দিকে ছিলেন বালবির সিং নামে ওই নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ রিভলবারটি উদ্ধারের পর পরীক্ষা করে দেখেছেন কাশ্মীরের রাজৌরি থেকে তার লাইসেন্স করা হয়েছিল রাজৌরি ব্যবহার করা জন্য বৈধ। সেই আগ্নেয়অস্ত্র উদ্ধারের পর পুলিশ তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় পাগরীটি খুলে যায়। কিন্তু পুলিশ তার পাগড়ী বাধার সময় না দিয়ে টানতে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষয়টি নিয়ে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
কিন্তু এদিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর টুইট করায় আপাতত রাজ্যে, ওই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না তা স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। যদিও বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ওই যুবকের পাগড়ী খুলে যাওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি তা নিয়ে কিছুই বলেনি। বরঞ্চ এ ব্যাপারে শিখদের তরফে প্রতিবাদ করা হয়েছে।