কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভা ভোটের আগে রাজপথের শক্তি প্রদর্শনে আপাতত পুলিশের জলকামান আর কাঁদানে গ্যাসের মুহুমুহু আক্রমণে থামতে হলো বিজেপিকে। বন্ধ নবান্ন দূরে থাক, হাওড়া ব্রিজ এবং হেস্টিংসের মোড় ছাড়াতে পারলো না বঙ্গ বিজেপি।

মিছিল আটকাতে পুলিশের লাঠি ছিলই, আর তার পাল্টা ইট বৃষ্টি, বোমা, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, সঙ্গী ছিল বিজেপির আন্দোলনে। কিন্তু একমাত্র হাওড়া ব্রিজের উপর এবং জিটি রোডে মিছিল সামান্য একটু বাড়তি বেগ দিলেও, অন্যান্য অংশে পুলিশের প্রথম ডিফেন্স সেই ভিড় কে আটকে যেতে হয়েছে বিজেপির ফরোওয়াড লাইনকে।।যদিও দিনের শেষে স্পষ্ট, রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রাজপথ দখলে এদিন বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। কেননা ট্রেন বন্ধ থাকায় জেলাগুলো থেকে বিজেপি সমর্থকদের আগমন ছিল স্বাভাবিক ভাবেই কম।

অন্যদিকে বিজেপির জেলা থেকে আসা সমর্থকদের বহু গাড়ি চতুর্দিকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিভিন্ন টোলপ্লাজায় বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি আটকে দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও। তারপরেও কলকাতা এবং হাওড়ার রাজপথ যেভাবে এদিন গেরুয়া সমর্থকদের ভিড় দেখেছে, তাতে আগামীতে লড়াইয়ের জায়গায় যে তৈরি হচ্ছে তা মানছে রাজনৈতিক মহলও।

পুলিশের জলকামানে এবার হোলির রঙে রঙিন হতে হয়েছে বিজেপির বহু সমর্থককে। কারণ জলকামান নীল রঙ ভরে রাখায়, সেই জলে যারা ধুয়ে গিয়েছেন, তাদের পোশাক দেখেই বোঝার গিয়েছে, বিজেপির আন্দোলনের তারা অংশ ছিলেন। এরইমধ্যে রাজু ব্যানার্জির মত কিছু বিজেপি নেতা পুলিশের লা ঠিতে জখম হয়েছেন। জখম হয়েছেন সেন্ট্রাল এভিনিউ বেশকিছু বিজেপির সদস্য সমর্থক। শেষ পর্যন্ত তাদের পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স এই পাঠানো হয় হাসপাতলে।

দুপুরের পরে ঝাড়গ্রাম সফর সেরে কলকাতা ফেরার সময় একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢু মেরে ছিলেন নবান্নে। কিন্তু লিফটে ওঠার মুখেই ফের সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান।
বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের আটকাতে সরকারের পুলিশ বল প্রয়োগ করেছে। শান্তির মিছিলে লাঠি, কাদা নে গ্যাস ছুরেছে। আবার তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বিজেপি রাজনৈতিক দল নয়। তারা বাহুবলী দল। বাহুবল প্রদর্শনের জন্য এদিন তারা রাজপথে নেমে ছিলেন। পুলিশ ষষ্টতার মত ব্যবস্থা নিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version