কলকাতা ব্যুরো: সংসদে সাসপেন্ডেড বিরোধী সাংসদদের ধরনায় একপ্রকার ‘চড়াও’ হওয়ার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের ধরনার পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ধরনাস্থলে গিয়ে হট্টগোল করলেন বিজেপির সাংসদরা। যার জেরে রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। পরে রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও পাত্তা দিতে চাননি চেয়ারম্যান।
পূর্ব ঘোষণা মতো শুক্রবারও সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনে ধরনায় বসেন ১২ জন সাসপেন্ডেড বিরোধী সাংসদ। তাঁদের পাল্টা আবার সেখানে হাজির হন বিজেপির রাজ্যেসভার সাংসদরা। তাঁদেরও উদ্দেশ্য ছিল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ওই জায়গাটিতেই বিক্ষোভ দেখানো, যেখানে বিরোধী শিবির ধরনা প্রদর্শন করছে। তবে শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, বিরোধী শিবিরের আচরণ নিয়ে রীতিমতো স্লোগান দিতে থাকেন শাসকদলের সাংসদরা। তাঁদের হাতে ছিল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, ‘গুন্ডাগিরি চলবে না’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
স্বাভাবিকভাবেই সরকার পক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদ করেন ধরনারত বিরোধী সাংসদরা। সরকার পক্ষের সাংসদদের অন্যত্র বিক্ষোভ দেখাতে অনুরোধ করেন তাঁরা। যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলে। যদিও পরে বিরোধীদের ধরনাস্থল ছেড়ে সংসদের ভিতরে চলে যান।
তৃণমূলের দুই ধরনারত সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী দাবি করেছেন,”সংবিধান বাঁচাও যাত্রার নামে বিজেপি সাংসদরা আমাদের ধরনা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে। আমরা দেশের সংবিধান বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম।”
পরে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় অভিযোগ করে বিরোধী পক্ষ। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসন থেকে জানানো হয়, সাংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানো সবার অধিকার। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বলার কিছুই নেই। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, বিরোধীরা আগে থেকেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন, তাহলে বিজেপি সেখানেই কেন বিক্ষোভ দেখাতে গেল? বিক্ষোভ দেখানোই উদ্দেশ্য হলে সংসদ চত্বরে আরও অনেক জায়গা ছিল। সেখানে কেন গেলেন না বিজেপি সাংসদরা? নাকি বিরোধী সাংসদদের ধরনায় বাধার সৃষ্টি করাটাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল?
এদিকে, এদিন সংসদে ত্রিপুরার ভোটে রিগিংয়ের অভিযোগ এনে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সঙ্গে সেই প্রস্তাবে সই করেছে আরজেডি, সিপিআই, সিপিআইএম, এনসিপি, ডিএমকে এবং আপ।