কলকাতা ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন ঘটনাস্থলে মমতা পৌঁছনোর আগেই ফের পুলিশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় সুর চড়ালো বিজেপি ৷ বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে ক্রমেই বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে চাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির ৷ বিজেপি বিধায়কদের দাবি, রাজ্যের ইন্টেলিজেন্স তথা গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে ৷ এই দাবিতে বৃহস্পতিবার বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বিজেপি সুর চড়াবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ‘মা বোনেরা জ্বলছে’, ‘বাংলা জ্বলছে’ বলে এ দিন অধিবেশনের শুরু থেকেই স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিজেপি বিধায়করা প্রায় ৩০ মিনিট বিক্ষোভ দেখানোর পরে ওয়াকআউট করে চলে যান তাঁরা। ‘পুলিশ মন্ত্রী হায় হায়’ স্লোগান ও হাততালি দিয়ে বিক্ষোভে দেকঝাতে থাকেন বিজেপি তাঁরা। পোড়া গ্রাম, ঝলসে যাওয়া ছবিও ব্যবহার করা হয়।
এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই, কক্ষে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেন শুভেন্দু । প্রসঙ্গত, বুধবারই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে ফিরে এদিন বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই রামপুরহাটের গণহত্যা নিয়ে সরব হয় বিজেপি। এদিন সকাল এগারোটায় বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলে সরকারবিরোধী স্লোগান ৷ তাঁদের দাবি, বগটুই গ্রামে যে নৃশংস হত্যালীলা ঘটেছে তার জন্য পদত্যাগ করতে হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত এক সপ্তাহে যেভাবে একের পর এক জনপ্রতিনিধি খুন হয়েছেন রাজ্যে, সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে বিজেপি চাইছে এখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়ুন মমতা।
এদিন বিরোধী দলের এই আচরণকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেসও। বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের উপ-মুখ্যসচেতক তাপস রায় বলেন, লাশের উপর রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। কোনও সন্দেহ নেই রামপুরহাটের ঘটনা অত্যন্ত বেদনার। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনার পর প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন দোষীদের কোনোভাবেই ছাড়া হবে না। এরপরেও বিরোধীদের এই বিরোধিতা শুধু রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্যই। বাংলার মানুষ তাদের পাশ থেকে সরে গিয়েছে। চিৎকার চেঁচামেচি করে তারা খবরে থাকতে চাইছেন।