কলকাতা ব্যুরো: পয়গম্বর বিতর্ককে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকাশ্যে আসছে অশান্তির ছবি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, বিধানসভা অধিবেশনে এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়করা। এর পাশাপাশি একাধিক অভিযোগকে সামনে এনে বুধবার অধিবেশন ওয়াকআউট করল বিজেপি। তীব্র উত্তেজনা বিধানসভা চত্বরে।
বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অশান্তি প্রসঙ্গে পুলিশ মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির বিধায়ক বিশাল লামা। অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিধায়করা।
এদিকে আগের অধিবেশনে সাসপেন্ডেড বিধায়করা বিধানসভার বাইরেই ছিলেন। তাদের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন অন্যান্য বিধায়করা। সেখানে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন অবস্থানের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বৈঠককে নিশানা করেন তিনি। দাবি করেন, বিরোধীদের অধিকাংশই যোগ দেবেন না মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে। এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষকে তৃণমূলের লোক বলে কটাক্ষও করেন তিনি। সাসপেনশনের বিষয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা কক্ষে একাধিকবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, হাতাহাতিতে জড়ানোর মতো ঘটনার জেরে বিরোধী শিবিরের ৭ জনকে সাসপেন্ড করে দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অধিবেশনে তাঁদের আর যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। এই তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আসন্ন অধিবেশনে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৭ বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি জানান, বিধানসভার বিধি মেনেই এর সমাধান করতে হবে। এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি সাসপেনশন।