কলকাতা ব্যুরো: সাধারণতন্ত্র দিবস অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলো বাদ বিতর্কে নয়া সংযোজন। এবার বাংলার হয়ে কেন্দ্রের কাছে সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। টুইট করে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন, ‘নেতাজি’ থিমের উপর তৈরি পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হোক। কীভাবে নেতাজির তৈরি INA ব্রিটিশদের বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে, তাঁদের ভারত ছাড়ার চাপ দিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হয়েছে। তাই তার প্রদর্শন জরুরি।
প্রসঙ্গত, শনিবার ট্যাবলোটি বাদ পড়ার পর রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। এরপর এ নিয়ে সওয়াল করলেন তথাগত রায়ও।
এ বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে স্থান পায়নি বাংলার ট্যাবলো। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-সহ একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী ও তাঁদের সংগ্রামকে থিম করে বানানো ট্যাবলো বাতিল করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, কোনও কারণ ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। শুধু আমি নই, রাজ্যের সকল বাসিন্দা মর্মাহত। যে বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগ করেছে, তাঁদের ট্যাবলো এভাবে বাতিল করায় শোকাহত সকলে।
শুধু নেতাজিই নন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র দত্তদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অবদান তুলে ধরা হয় বাংলার ট্যাবলোয়। মমতার মতে, এই ট্যাবলো বাতিলের অর্থ ইতিহাসের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন।
এরপর তথাগত রায়ও কথা বললেন প্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বাংলার এই ট্যাবলোর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। নেতাজির তৈরি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি কীভাবে ব্রিটিশদের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছিল, তা বিশ্লেষণ করে এই ট্যাবলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তিনি। তথাগত রায়ের আবেদন, এই ট্যাবলো প্রদর্শনের অনুমোদন দেওয়া হোক। গেরুয়া শিবিরের তরফেও পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো নিয়ে সওয়াল ওঠায় তার গুরুত্ব বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।