কলকাতা ব্যুরো: আপাতত হোয়াটসঅ্যাপ ‘বিদ্রোহে’ বঙ্গ বিজেপির অন্দরে টালমাটাল পরিস্থিতি। শনিবার পোর্ট গেস্ট হাউসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতারা বৈঠকে বসতে পারেন। জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি, সমীরণ সাহা-সহ অন্তত ২০ জন নেতার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। তবে ঠিক তার আগে আরও একবার বঙ্গ বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে টুইট বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ের।

শনিবার সকালের টুইটে তিনি লেখেন, শুশ্রূষা না করে লুকিয়ে রাখলে রোগ সারে না। রোগীরই মৃত্যু হয়। অর্থ এবং নারীচক্রের সংসর্গ থেকে রোগের সূত্রপাত। বিধানসভা নির্বাচনের খারাপ ফলের পরেও শুদ্ধিকরণ হয়নি। বাংলায় কি বিজেপির মৃত্যু হতে চলেছে? বঙ্গ বিজেপির অন্দরের চওড়া ফাটলই এখন বিরোধীদের অক্সিজেন জোগাচ্ছে। তারই মাঝে তথাগত রায়ের এই টুইট আগুনে ঘৃতাহুতি ছাড়া কিছুই নয় বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

শুক্রবারও একটি টুইটে রাজ্য বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা ছাড়া প্রসঙ্গে টুইটে প্রবীণ নেতা লেখেন, উত্তরপ্রদেশের বিজেপির মন্ত্রিসভা ছেড়ে মন্ত্রীরা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিচ্ছে বলে যাঁরা উল্লসিত হচ্ছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত ঠিক একইরকম ঘটনা পশ্চিমবঙ্গেও ঘটেছিল। বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মীদের বাদ দিয়ে তৃণমূল থেকে আসা যতরকম জঞ্জাল আর ট্রোজান ঘোড়াদের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। ফল তো সবাই দেখেছেন।

একে দলে চলা বিদ্রোহের মধ্যে তথাগত রায়ের একের পর এক টুইট খোঁচায় শনিবারও নতুন করে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। তবে এসবের মধ্যেও বঙ্গ বিজেপির শাসক গোষ্ঠী তো বটেই রাজনৈতিক মহলেরও নজর পোর্ট গেস্ট হাউসে বিক্ষুব্ধ শিবিরের বৈঠকের দিকেই। দলের কোন পরিচিত মুখদের দেখা যেতে পারে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনাও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version