কলকাতা ব্যুরো: পুরভোট ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই এবার তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক সঙ্ঘাত তুঙ্গে উঠলো। রবিবার সল্টলেকে পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ধরেছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ালেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। কলকাতায় পুরভোট চলাকালীন বিধাননগর পুলিশকে দিয়ে, সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে শুভেন্দুর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
রবিবার পুরভোট চলাকালীনই শুভেন্দুর বাড়ির বাইরে বিপুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে দেখা যায়। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, দলের আট বিধায়ককে নিয়ে সেখানে বৈঠক করছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় পুলিশ বাড়ি ঘিরে ধরে। কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। শুভেন্দুর বাড়ির সামনে সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন জয়প্রকাশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় তাঁর। কোন আইনে বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, বাংলায় কোনও আইন নেই। এখানে তৃণমূলের স্বৈরতন্ত্র চলছে। এতেই বোঝা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কতটা ভয় পেয়েছেন।
পাশাপাশি মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে ২০০৬ সালে বিধানসভা ভাঙচুরের প্রসঙ্গও টেনে আনেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মিছিল আটকেছিল পুলিশ। তার জন্য সেই সময় বিধানসভা ভাঙচুর করে তৃণমূল। সব শেষ করে দেয়। আজ দেখুন এখানে ভোট হচ্ছে না, ১৪৪ ধারা নেই, জমায়েত করা যাবে না বলে কোনও নির্দেশও নেই। তা সত্ত্বেও বিজেপি বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশের তরফে জয়প্রকাশকে জানানো হয়, তাঁদের কাছে কাউকে বেরোতে না দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। সেই নির্দেশই পালন করছে তারা। নির্বিঘ্নে পুরভোট করানো তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু পুলিশের যুক্তিতে আরও রেগে যআন জয়প্রকাশ। পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন, “ভোট তো কলকাতায়, বিধাননগর পুলিশের তাতে কী কাজ? কোন এক্তিয়ারে বিধাননগর পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করেছে?
এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বিধাননগরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর।