কলকাতা ব্যুরো: চার পুরনিগমের ভোটের ফলাফল নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য বিজেপি। ষড়যন্ত্র এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এছাড়া আগামীর সব পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার দ্রুত শুনানির আরজিও জানানো হয়। সূত্রের খবর, সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি হবে।
সোমবারই চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় চারটিতেই জিতেছে শাসকদল তৃণমূল। এদিকে মঙ্গলবার বিজেপির দায়ের হওয়া মামলার মূল বক্তব্য, ভোট অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়নি বরং গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে। বহু ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের লড়াইয়েরই সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোথাও কোথাও ৯৬ শতাংশও ভোট পড়েছে। যার জেরে প্রায় একচেটিয়াভাবেই চার পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল।
এছাড়া বিধাননগর, আসানসোলে ভোটের দিন সন্ত্রাসের অভিযোগও তোলা হয়েছে। আগামী দিনে ১০৮টি পুরসভার ভোট রয়েছে। তাতে আরও হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণে পরবর্তী ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও দাবি তুলেছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, মামলায় কমিশনের আইনজীবী বদলের দাবিও রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য দেখেশুনে হাই কোর্ট আবেদন গ্রহণ করেছে বলে খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিজেপির দায়ের করা মামলার শুনানির সময় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে এই প্রথম নয়, পুরভোটে নিরাপত্তা, স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে আগেও একাধিকবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।
বস্তুত বিধাননগরের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে তাদের দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছেড়েছিল হাই কোর্ট। রাজ্য পুলিশেই ভোট হয়। বিধাননগরের তেমন বড় কোনও অশান্তিও হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। বুধবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ কী হয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।