কলকাতা ব্যুরো: ভোট ঘোষণা হতেই শিলিগুড়িতে জোরকদমে প্রচারে শুরু করলো বিজেপি। আর প্রচারে নেমেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের হুঁশিয়ারি, এবার শিলিগুড়িতে ফেল করবে অশোক-মডেল, উঠে আসবে গেরুয়া দলই। মঙ্গলবার শঙ্কর ঘোষ বলেন, আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও মানেই ছিল না। এই জোট এককথায় নীতিহীন বলেই দাবি করেন এক সময় রাজ্য রাজনীতিতে অশোক ভট্টাচার্যের ‘শিষ্য’ হিসাবে পরিচিত শঙ্কর।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এখন বামেদের উত্থানের তো কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী কয়েক দশক রাজ্য বা কেন্দ্রে কোনও ভূমিকাই থাকবে না বামেদের।
প্রসঙ্গত, সোমবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরই ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে বিভিন্ন দল। এখনও প্রার্থী তালিকা সামনে আসেনি ঠিকই, তবে দলীয় প্রতীককে তুলে ধরেই চলছে প্রচার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। হাকিমপাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়েই চলে এই দেওয়াল লিখন। সেখানে গিয়েই বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, গেরুয়া কাপড় পরলেই আমরা সাম্প্রদায়িক? এ কেমন ভাবনা বামেদের? কোন নীতিতে এরা আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল?
একইসঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে কার্যত কটাক্ষের সুর শোনা গেল শঙ্কর ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, কীভাবে ভোট এলেই কাছাকাছি আসে বাম-কংগ্রেস? মানুষ এবার প্রথম শিলিগুড়িতে অ-তৃণমূল এবং অ-বাম বোর্ড গঠন করবে। বিজেপিকে আশীর্বাদ করে জিতিয়ে আনবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।
সদ্য বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শঙ্কর। এমনও শোনা যাচ্ছে শিলিগুড়ির পুর নির্বাচনেও বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করতে পারে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন শঙ্কর, দাবি সূত্রের। ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগরে ভোট হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ৪২১টি। ভোটার ৪,০২,৮৯৫।