কলকাতা ব্যুরো: রাজ্য জুড়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে পথে নামলো বিজেপি ও এসইউসিআই। তবে এদিন এসইউসিআই-এর বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজভবন চত্ত্বর। সোমবার রাজভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ৭০ থেকে ৮০ জন এসইউসিআই-এর কর্মী- সমর্থক। সেখানেই পুলিসের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় তাদের। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
এছাড়াও হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন মেয়োরোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি মহিলা মোর্চা। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা নানা রকমের প্ল্যাকার্ড। তবে শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয় বিভিন্ন জেলাতেই বিরোধীরা হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে।
রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। সোমবার সব ঘটনার বিচার চেয়ে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে এসইউসিআই-এর কর্মী-সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা বাড়তে থাকলেও প্রশাসন উদাসীন। অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বার করে গ্রেফতার করতে হবে। তবে এদিন এসইউসিআই-এর বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরাও তাদের উপর চড়াও হয়।
পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের ভ্যানে তোলা হয়। পুরুষ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে অনর্থক ঘৃণ্য রাজনীতি করছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, হাঁসখালির ঘটনা অত্যন্ত্ দুঃখজনক এবং অবাঞ্ছিত। বিরোধীরা এর মধ্যে রাজনীতি টেনে আনছে।