কলকাতা ব্যুরো: গঙ্গাসাগরের পর করোনা আবহে শুরু হচ্ছে জয়দেব-কেন্দুলির মেলা। গঙ্গাসাগর মেলার ছাড়পত্র পাওয়ার পরই জয়দেব মেলা নিয়ে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী তথা বোলপুরে বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, কোভিড বিধি মেনে ছোট করে মেলা হবে ৷ নজরদারি জারি থাকবে। ধর্মীয় আবেগকে তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না ৷ তাই দূরে দূরে অল্প দোকান বসিয়ে মেলা হবে।

১৬৮৩ সালে বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ্র বীরভূমের অজয় নদের তীরে রাধা-বিনোদের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত আছে পৌরাণিক কাহিনীসমূহ। এই স্থানটির সঙ্গে কবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে থাকায় পরবর্তীকালে এলাকাটি জয়দেব-কেন্দুলি নামে খ্যাত হয় ৷ বিদেশি বাউলদেরও দেখা যায় মেলায়। প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন জয়দেব-কেন্দুলির এই মেলা ৷

করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই গত বছরের মত এবারও শুধু অজয় নদে মকরের পুণ্যস্নানের অনুমতি দিয়ে জয়দেবের মেলা বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয় ৷ কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার ছাড়পত্র মিলতেই জয়দেব-কেন্দুলির মেলার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় ও জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জয়দেবের মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন ৷ তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোভিড বিধি মেনে ছোট করে ঐতিহ্যবাহী জয়দেব-কেন্দুলি মেলার আয়োজন করা হবে। সঙ্গে পুণ্যস্নান করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

তবে যেভাবে বীরভূম জেলায় করোনার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে মেলার আয়োজন কতটা সমীচীন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ রাজ্য সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধের পাশাপাশি কোভিড রুখতে বোলপুর ও সিউড়ি শহরে বাড়তি বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version