কলকাতা ব্যুরো: ভবানীপুর উপনির্বাচন সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল এক সপ্তাহ। আগামী সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। সোমবার আজ কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পর, সেই প্রক্রিয়াকে অকারণ থামানো যায় না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশিকা রয়েছে।”
অন্যদিকে, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপনির্বাচন আর নির্বাচন এক ব্যাপার নয় ৷ ভবানীপুর কেন্দ্রে কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট কি আছে ? যে এত দ্রুত নির্বাচন করাতে হচ্ছে ! এই ভাবে একটা কেন্দ্রে নিজেদের ইচ্ছেমতো উপনির্বাচন করা যায় না। আসলে একজন ব্যক্তির সঙ্কটটাই এখানে মূল বিষয়। তাঁর জন্য এ ভাবে নির্বাচন করানো যায় না।’’
তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনারা এত দেরিতে কেন মামলা করলেন?” উত্তরে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন ,”আমরা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা করেছিলাম।” প্রধান বিচারপতি তখন সামান্য বিরক্তি প্রকাশ করে জানান, আগামী সোমবার ফের শুনানি করা হবে এই মামলার । ইতিমধ্যে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
শুনানির শেষে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিচারপতি সব পক্ষের হলফনামা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আজকের শুনানিতে আমরা দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলাম। আমাদের বক্তব্য ছিল, এই মামলার একটা আর্জেনসি রয়েছে। আমাদের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সঙ্কটকে জনগণের সঙ্কট বলে দেখাতে চাইছেন। কারণ ৬ মাসের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে তিনি সমস্যায় পড়বেন। তার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে । দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে নির্বাচন কমিশনও এই ব্যাপারে সম্মতি জানাচ্ছে। এইখানেই আমাদের আপত্তি। আগামী সোমবার ফের মামলার শুনানি হবে।”