কলকাতা ব্যুরো: ব্যারাকপুরে বিজেপি নেতা মনিশ শুক্লার খুনে টুইটারে বিবৃতি দিল রাজ্য পুলিশ। সেই বিবৃতিতে একদিকে যেমন কে খুন হয়েছে তার কোন নাম প্রকাশ করা হয়নি, একইসঙ্গে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যিনি খুন হয়ে ছেন, তার নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ফলে তার পুরনো শত্রুতার জেরেই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা দেখতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। একইসঙ্গে এই খুনের ঘটনায় বিজেপি ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দিয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। এবং একদিকে যেমন অবরোধ বিক্ষোভ চলছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে রাজ্য পুলিশকে দুষছে নেটিজেনদের একাংশ।
সে ব্যাপারেও খুব হালকাভাবে নেটিজেনদের সতর্ক করে দিতে চেয়েছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, প্রকৃত তদন্ত ছাড়া যা খুশি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয়। এতে প্রকৃত তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন নেটিজেনরা, পুলিশের এমন ইঙ্গিত টুইটারে। রাজ্য পুলিশের এই আল্টাপকা মন্তব্য প্রসঙ্গে সর্তকতা রাজ্যপালকে কিনা ইঙ্গিত করে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
রাজ্য পুলিশের এই বক্তব্য প্রাথমিকভাবে একটি বিষয় স্পষ্ট, পুলিশ মণীশ শুক্লার মৃত্যুতে তার সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জের ও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ থাকায় সেই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে তদন্তের শুরুতে।
যদিও এই খুনের ঘটনায় রাজভবন সোমবার সকালেই স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করলেও এদিন বেলা একটা পর্যন্ত তাদের কেউই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। যা নিয়ে এ দিন সকালেও নতুন করে টুইটারে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যদিও এদিন বেলা পৌনে এগারোটায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে যান। মুখ্যসচিবের যাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয় স্বরাষ্ট্র সচিব এর বদলে মুখ্যসচিব রাজভবনে গিয়েছেন কিনা। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব হওয়ার পর সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই এ দিন তার রাজভবন যাওয়া ছিল পূর্ব ঘোষিত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে মণীশ খুন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হবার কথা নয় রাজ্যপালের।