ঠাট্টা করে সবাই বলেন, যাহার কোনো গুণ নাই, তাহাই বেগুন। বাস্তবে বেগুন খাওয়ায় কোন ঔষধি গুন আছে কিনা, সে বিতর্কে যাচ্ছি না। তবে বাঙালির হেঁশেল বেগুন ছাড়া কিন্তু খুব বেশিদিন কাটানো সম্ভব নয়। বেগুন ভাজা তো আছেই। শীতকালে বেগুন পোড়াও অন্যতম উপাদেয়। তাছাড়া নানান তরকারিতে বেগুন দিলে অনেক সময় তার স্বাদও অন্যরকম হয়ে যায়। সেই বেগুনকে আজ একটু অন্য রকম ভাবে পরিবেশন করতে চাই। যারা এভাবে আগে পরীক্ষা করেন নি, তারা একবার দেখতে পারেন। খেতে কিন্তু খারাপ লাগবে না, তা হলফ করে বলতে পারি।
উপকরণ:
বেগুন: ৫০০ গ্রাম
সর্ষের তেল: ১০০ গ্রাম
পোস্ত বাটা : ২ টেবিল চামচ
সাদা – কালো সর্ষে বাটা : ২ টেবিল চামচ
চাল মগজ বাটা : ২ টেবিল চামচ
নারকেল বাটা : ৩ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা : ২ টেবিল চামচ
কালো জিরে : ১ চা চামচ
ফেটানো টক দই : ৪ টেবিল চামচ
নুন, হলুদ, চিনি : পরিমাণমতো

পদ্ধতি :
প্রথমে বেগুনগুলো বোটা সমেত কেটে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ আর সামান্য চিনি দিয়ে ১০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট বাদে কড়াইয়ে তেল দিয়ে মাখিয়ে রাখা বেগুনগুলো ছাকা তেলে লাল করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার গরম তেলে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে ফেটানো টক দই আর নারকেল বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
খানিকক্ষণ নাড়ার পর একে একে সাদা কালো সরষে বাটা, পোস্ত বাটা, চালমগজ বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, পরিমাণমতো নুন হলুদ আর সামান্য চিনি দিয়ে কষিয়ে একটু জল দিয়ে বেগুন গুলো উপরে সাজিয়ে ঢাকা দিতে হবে। দুই থেকে তিন মিনিট বাদে আবার বেগুনগুলো উল্টে দিতে হবে। দুইবার উল্টে দিলে বেগুন গুলোর ভেতরে মশলাগুলো ভালো ভাবে লেগে যায়। এরপর বেগুন গুলোর উপরে নারকেলকোরা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।