কলকাতা ব্যুরো: এবারও বিশ্বভারতীতে হবে না বসন্ত উৎসব। পরে নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পরপর দু’বছর দীর্ঘদিনের রীতিতে ছেদ পড়ল। অবশ্য বসন্ত উৎসবের সব রীতি মেনেই অনুষ্ঠান করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে উপাচার্যকে একথা বলতে শোনা গিয়েছে। তাঁর কথায়, এই মুহূর্তে বসন্ত উৎসব কোন দিনে হবে, তা ঘোষণা করছি না। আলোচনা করে দিন ঘোষণা করা হবে। এটা বিশ্বভারতীর পরিবারের অনুষ্ঠান। এটা কখনই আমজনতার অনুষ্ঠান ছিল না।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের যে নিয়ম নীতি রয়েছে তা মেনেই এবার অনুষ্ঠান করা হবে। বৈতালিক, ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের সঙ্গে শোভাযাত্রা সবই হবে, কিন্তু ঘরোয়াভাবে। প্রসঙ্গত, শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমীর দিন ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন। অনুষ্ঠান হয়ে ছিল প্রাককুটিরে, আজ যা শমীন্দ্র পাঠাগার। ধরে নেওয়া হয় ঋতু উৎসবের মধ্যে দিয়েই বসন্ত উৎসবের সূচনা হয়েছিল।
প্রথম দিকে আম্রকুঞ্জে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হত। ভিড় বাড়লে তা সরিয়ে নিয়ে আসা হয় আশ্রম মাঠে। কিন্তু ২০১৮ সালে বসন্ত উৎসবে ২ লক্ষের বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল। তার ফলে বসন্ত উৎসব শেষ হতেই বিশ্বভারতীর বিভিন্ন রাস্তা অররুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ আটকে থাকে। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তারপরই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় বসন্ত উৎসবের দিন পরিবর্তন করা হবে। ২০২১ সালে বিশ্বভারতী নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে উপাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছে, বসন্ত উৎসব আগের মতো হবে না। গত বছর যেভাবে হয়েছিল এবার সেভাবে হবে। বিশ্বভারতী পরিবারে বসন্ত উৎসব খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনান্য অনুষ্ঠানের মতো বসন্ত উৎসব করব। আমরা দোলের দিন বসন্ত উৎসব করব না কারণ, সেদিন বসন্ত উৎসব করলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজ্য পুলিশ আমাদের সাহায্য করে না। তাই আমরা রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর নির্ভর করতে পারি না। এটা বিশ্বভারতীর পরিবারের অনুষ্ঠান, আমরা নিজেদের মতো করব। করোনার জন্য এখনো কারফিউ আছে। তাই সন্ধের বৈতালিক আমরা করব না। সকালের বৈতালিক আমরা করব।