কলকাতা ব্যুরো : ডিজিটাল ইন্ডিয়াই হোক অথবা লকডাউন – ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অনলাইন হয়ে গিয়েছে। টাকা ট্রান্সফার, ব্যালেন্স চেক সমস্ত কিছুই এখন অনলাইনে করা যায়। ব্যাংকের লম্বা লাইন এর প্রয়োজন নেই। আছে নেট ব্যাঙ্কিং, এন ই এফ টি বা ইউপিআই এর সুবিধা। ডিজিটাল লেনদেন যেমন বেড়েছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা ও। তাই ডিজিটাল লেনদেন করার সময় বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে ব্যাংক। কারণ মানুষের অজান্তেই হ্যাকাররা তাদের অ্যাকাউন্ট এর ওপর নজর রাখছে এবং সিম সোয়াপিং এর মাধ্যমে টাকা চুরি করে নিচ্ছে।

কি এই সিম সোয়াপিং ? সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা চুরির জন্য প্রতারকেরা নতুন নতুন পদ্ধতি আনছে বাজারে। আগে গ্রাহকদের কাছে ফোন করে তাদের পিন নম্বর, ওটিপি জিজ্ঞাসা করত। কিন্তু এখন প্রতারনার ধরন পাল্টেছে। সিম সোয়াপিং এর ক্ষেত্রে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করার দরকার পড়ে না। যদি কেউ গ্রাহকের সিমের দুপ্লিকেট জারি করে তাহলে তাদের আর কিছু জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ এর মাধ্যমে হ্যাকারদের কাছে পাসওয়ার্ড, ওটিপি আসবে এবং এর সাহায্যে খুব সহজেই হ্যাকাররা ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবে।

সিম সোয়াপিং করার আগে মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার কে হ্যাকাররা প্রথমে বিশ্বাস করিয়ে নিতে চেষ্টা করছে যে তিনি আসল গ্রাহক। এবং এইভাবে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বরের সিম জারি করে নেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার দেখা গিয়েছে মোবাইল সংস্থার কর্মচারীরাও এর সঙ্গে যুক্ত থাকছেন।

এখন থেকেই সতর্ক হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ফোন চালু থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ যদি বন্ধ হয়ে যায় বা আউট অফ রিচ দেখায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন এবং ব্যাংককে তা জানিয়ে রাখা দরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version