এক নজরে

#Mamata Banerjee : আপাতত বন্ধ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নাম নথিভুক্তের কাজ

By admin

June 29, 2022

কলকাতা ব্যুরো: গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি, কোনও প্রকল্পেরই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে প্রাপ্য পাইয়ে দিতে দিল্লি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। মমতা এদিন আরও জানান, দরকার হলে আমি নিজে গিয়ে দিল্লিতে টাকার দাবিতে দরবার করব।

বুধবার দুপুরে পূ্র্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ডিএম, এসপি, বিডিও, বিধায়ক, সাংসদরা ছিলেন। সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গ্রামীন রাস্তা, বাংলার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজ, অনেক সমস্যা। ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যেখানে ১৫ দিনের মধ্যেই টাকা দেওয়ার কথা।

এরপরই ডিএমদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ডিএমদের আমার অনুরোধ, আমি বলছি পিডব্লুউডি, জলধর জলভরো প্রকল্প-সহ যে সকল প্রকল্পের কাজে বাইরের লোক ব্যবহার করা হয়, সেখানে আপাতত জব কার্ড যাদের রয়েছে, তাঁদের নেওয়া হোক।
প্রকল্পের নামের কারণে কেন্দ্রের থেকে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজস্থানের প্রকল্প যদি সেখানকার নামে হয়, তাহলে বাংলা আমাদের জন্মভূমি, সেখানকার প্রকল্প কেন ‘বাংলার বাড়ি’ হবে না। এই প্রকল্পের কাজে ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য ব্যায় করে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কত বাড়ি দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করে কেন্দ্র। কিন্তু চলতি বছরে তা করা হয়নি। ফলে নতুন তালিকা যাতে না করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ, কেন্দ্র সহযোগিতা না করলে নতুন করে কাজ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে গুলি তালিকাতে ছিল সেগুলিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি দিল্লিতে যাব, কোন অপরাধে অপরাধী করা হল, তা জানতে চাই। কেন্দ্র রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, এদিন সেই অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নিজেদের দায়িত্বে রাস্তার কাজ করার নির্দেশও দেন। সব মিলিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল কেন্দ্র।

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকার অভিযোগ করে আসছে, কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখেছে। অথচ আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে জবকার্ডধারীদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে কিছুই করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে।

সম্প্রতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দশ সাংসদের এক প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পে বকেয়া পাওনা নিয়ে দরবার করে। মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে বলা হয়, ওই বাবদ রায় ৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে পায়। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে গিরিরাজ সিং আশ্বাস দেন। সুদীপের অভিযোগ, আজ পর্যন্ত গিরিরাজ সিং তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি ফোনেও মন্ত্রীকে ধরতে পারেননি। সুদীপ জানান, বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার গোচরে এনেছেন।