কলকাতা ব্যুরো: জঙ্গী কার্যকলাপ বিরোধী অভিযানের নেমে সিঙ্গাপুর পুলিশ ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন আদি সিঙ্গাপুরবাসী, ২৩ জন বিদেশি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশের নাগরিক। এমন একজন বাংলাদেশী যুবককে পুলিশ সনাক্ত করেছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জিহাদ তৈরি করা। একইসঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধাচরণ যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে গিয়ে লড়াই করার ইচ্ছে ওই যুবক প্রকাশ করেছে বলে দাবি সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বাহিনীর।ধৃতদের একটা বড় অংশই আইসিস ভাবধারার সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে চায়। আবার কেউ কেউ আল কায়েদা এবং আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থক। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় এইসব জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রচারে এরা প্রভাবিত বলেও জানাচ্ছে সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বাহিনী।এরা এইসব জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল বলে তথ্য পেয়েছে সিঙ্গাপুর পুলিশ।ধৃতদের মধ্যে ২৬ বছর বয়সী আহমেদ ফয়সালকে নিয়ে দুশ্চিন্তা নিরাপত্তা বাহিনীর। এই বাংলাদেশি যুবক ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই আইএস এর ভাবধারা য় প্রভাবিত হন। তিনি কাশ্মীরে গিয়ে ইসলাম বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান বলে ফয়সাল দাবি করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপরেও রাগ এই যুবকের। যে ১৫ জনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা সিঙ্গাপুর পুলিশের, তারদের মধ্যে সকলেই বাংলাদেশের। যদিও এদের মধ্যে আহমেদ ফয়সাল যথেষ্ট চিন্তার কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর।সিঙ্গাপুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফয়সাল সিরিয়ার আইএস এর জন্য টাকা পাঠায়। একইসঙ্গে হায়াত তাহরির আল শামস নামে অন্য একটি জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রতিও তার দুর্বলতা তৈরি হয়েছে ২০১৯ সালের পর থেকে। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নেমে এমন একজনকে গ্রেপ্তার করার পর, এখন তাদের ব্যাপারে আরো বেশি করে তথ্য খোঁজার চেষ্টা করছে সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি।